|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগের দিন শেষ বিকেলে পঞ্চাশ রানে দুই উইকেট পড়ার পর 'নাইটওয়াচম্যান' হিসেবে নেমেছিলেন রেজাউর রহমান রাজা। রংপুর বিভাগের হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ তিন উইকেট নিয়ে বিপদে ফেললেও শেষদিনে রাজার হাফ সেঞ্চুরিতে চার উইকেটের জয় পেল সিলেট বিভাগ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দুই উইকেটে ৫১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন পিনাক ঘোষ এবং রাজা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা তোলেন ৫৬ রান। এই জুটিই মূলত জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিলেট।
রংপুরের হয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাইম ইসলাম। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন পিনাক। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১০১ বলে ৪২ রান। ইনিংসটি খেলতে ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। জয়ের পথে ঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল সিলেট।
এমন সময় ৫২তম ওভারে বল হাতে আলো ছড়ান মুগ্ধ। ডানহাতি পেসারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে পরাস্ত হন রাজা। তবে ফেরার আগে ১১৭ বলে ৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। পরের বলেই মুবিন আহমেদ দিশানকে ফেরান মুগ্ধ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচটি ধরেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এক ওভার পর আবারও আঘাত হানেন মুগ্ধ। রাহাতুল ফেরদৌসকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৬০ রানের মধ্যে ছয় উইকেটে হারিয়ে বিপাকে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে ৩২ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান অমিত হাসান এবং আসাদুল্লা আল গালিব।
অমিত করেন ৮১ বলে অপরাজিত ৩৭ রান। তার সঙ্গে ৪৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন গালিব। রংপুরের হয়ে ৫৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মুগ্ধ। একটি করে উইকেট নেন রবিউল হক, আবু হাসিম এবং নাইম।
ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে রংপুর অলআউট হয় ১৫৮ রান তুলে। সিলেটের হয়ে তিনটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ এবং রেজাউর রহমান রাজা। অমিত হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেট প্রথম ইনিংসে করে ১৮৯ রান। এরপর রংপুর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রান করলে সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রানের।