ওয়াশিংটনকে হারিয়ে এমআই নিউ ইয়র্কের ঘরে মেজর লিগের শিরোপা

ছবি: এমআই নিউ ইয়র্কের শিরোপা উদযাপন

১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফ্রিডম শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার—গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু রুশিল উগারকার দেখালেন অভাবনীয় ধৈর্য ও নিয়ন্ত্রণ। প্রথম দুই বলে দুটি সিঙ্গেল খরচ করেন তিনি। এরপর ম্যাক্সওয়েল মিস করেন তৃতীয় বলটি।
হেটমায়ারের হ্যাটট্রিক ম্যান অফ দ্য ম্যাচে সিয়াটলের হ্যাটট্রিক জয়
২ জুলাই ২৫
চতুর্থ বলেই ম্যাচ ঘুরে যায়—ম্যাক্সওয়েল মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন লং অনে। ১৬ বলে ১৫ রানে শেষ হয় এই অজি ব্যাটারের ইনিংস। পঞ্চম বলটি মিস করেন নতুন ব্যাটার ওবাস পিনার। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রান, যা কার্যত অসম্ভব। উগারকারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিশ্চিত করলেন নিউ ইয়র্কের অবিশ্বাস্য জয়।

বড় রান তাড়া করতে নেমে ফ্রিডমের শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট ফিরিয়ে দেন মাইকেল ওয়েন ও আন্দ্রিস গুসকে—তখন তাদের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ০। এরপর রাচিন রবীন্দ্র (৪১ বলে ৭০) ও জ্যাক এডওয়ার্ডস (২২ বলে ৩৩) ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
নোস্থুশ কেঞ্জিগের বলে এডওয়ার্ডস বিদায় নিলে আবার চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর ফিলিপস ও রাচিন জুটি বাধলেও ১৬তম ওভারে রাচিন আউট হলে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় নিউ ইয়র্কের হাতে। শেষদিকে ফিলিপস (৪৮*) লড়াই করলেও জয় অধরাই থেকে যায় ওয়াশিংটনের।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউ ইয়র্ক তোলে ৭ উইকেটে ১৮০ রান। দলটির হয়ে ৪৬ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডি কক। শুরুতে মনাঙ্ক প্যাটেলের সঙ্গে তিনি ৭২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। এরপর নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ডি কক আরও যোগ করেন ৫৬ রান।
যদিও লকি ফার্গুসনের (৩/২৪) এক ওভারেই ডি কক ও কাইরন পোলার্ড ফিরে গেলে চাপে পড়ে নিউ ইয়র্ক। এক পর্যায়ে তারা ১৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। শেষদিকে কুনওয়ারজিৎ সিংয়ের ১৩ বলে ২২ রানের কার্যকর ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় নিউ ইয়র্ক। শেষ পর্যন্ত এই রান করেই জয় নিশ্চিত করে দলটি।