‘বাউন্ডারি বড় হলে ব্যাটারদের মনে ভয় থাকে’
ছবি: চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিপন মণ্ডল, ক্রিকফ্রেঞ্জি
অন্য সবসময়ের তুলনায় এবার খানিকটা ছোট ছিল মিরপুরের বাউন্ডারির সীমানা। দুই পাশে ৫৭-৬০ মিটার রাখা হলেও পেছনে ৫৬ মিটার। লং অফ এবং লং অনের দিকে বাউন্ডারি রাখা হয়েছিল ৬৫-৭০ মিটারের মতো। সিলেটে সেটা আরও কমিয়ে আনা হয়েছিল। যেখানে প্রায় সব ম্যাচেই ৫৮-৬০ মিটারের সীমানা দেখা গেছে। একেবারের সামনে দেখা গেছে সর্বোচ্চ ৬৫ মিটার।
তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু বরিশালের
১৬ জানুয়ারি ২৫রংপুর রাইডার্স ও বরিশালের মধ্যকারে ম্যাচে ৫২ মিটার ছক্কাও হতে দেখা গেছে। শেখ মেহেদীর বলে রিভার্স সুইপ করে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় এটি ৫২ মিটারের ছক্কা হয়েছে। তবে তামিমের সমালোচনা কিংবা পরামর্শের পর চট্টগ্রামে ভিন্নতা দেখা গেছে সীমানার ক্ষেত্রে। দুই পাশে ৭০ মিটার করে, স্কয়ারের একপাশে ৬৭ মিটার এবং অন্য পাশে ৬৯ মিটারের সীমানা দেয়া হয়েছে।
বাউন্ডারি বড় হওয়ায় মিরপুর ও সিলেটের তুলনায় রান কম হয়েছে চট্টগ্রামে। একটি ম্যাচে চিটাগং কিংস অবশ্য দুইশ রান করেছিল। বেশ কয়েকটি ইনিংসে ১৮০ রানও ছুঁতে দেখা গেছে। তবে বেশ কয়েকটি ইনিংস গুটিয়ে গেছে দেড়শর আশেপাশে। সীমানা বড় হওয়ায় সবশেষ ম্যাচ শেষে নিজের খুশির কথা জানিয়েছিলেন তামিম। এবার রিপন জানালেন, সীমানা বড় হওয়ার ফায়দা নেয়ার পাশপাশি বোলাররাও ভালো জায়গায় বোলিং করার উইকেট পাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে রিপন বলেন, ‘বাকি যে দুইটা ভেন্যু ছিল তার থেকে চট্টগ্রামের ভেন্যুর বাউন্ডারি একটু বড়। বাউন্ডারিটা একটু ম্যাটার করে। ভালো জায়গায় যদি আপনি বোলিং করতে পারেন.. এটা তো সহজ না মেরে দেবে। এক-দুইটা বল মারতে পারে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে যদি ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারেন বা আমরা পারি তাহলে কোন ব্যাটারের জন্যই সহজ না। এখানের পিচ ম্যাপ দেখবেন আর অন্য জায়গায়র পিচ ম্যাপ দেখবেন মোটামুটি একটু পরিস্কার ধারণা হয়ে যাবে। আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে আমরা বোলাররা ভালো জায়গায় বোলিং করছি, ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। এজন্য একটু কম রান হচ্ছে।’
তরুণ এই পেসার এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সীমানা বড় হলে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে সংশয়ে থাকেন ব্যাটাররা। রিপন বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। বাউন্ডারি একটু থাকলে ব্যাটারদের সংশয়ও থাকে। আগে যেটা ছিল হয়ত ৬০ কিংবা ৬৫ মিটার ছিল বা আরও কম ছিল। তখন একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস থাকে ব্যাটারদের মনে.. পেস ব্যবহার করতে পারলে হাফ হিট করলেও হয়ে যেতে পারে। এখানে যেহেতু বাউন্ডারিটা বড় ব্যাটারদের মনেও হালকা ভয় থাকে।’
গত মৌসুমের মতো এবারও স্কোয়াডে তারার মেলা বসিয়েছে বরিশাল। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলে গেছেন কাইল মেয়ার্স, শাহীন শাহ আফ্রিদিরা। এখনও দলে আছেন মোহাম্মদ নবি, ফাহিম আশরাফ, খান জাহানদাদ, জেমস ফুলার, ডেভিড মালানের মতো ক্রিকেটার। দেশিদের মাঝে তামিমের সঙ্গে আছেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তানভীর ইসলাম , তাইজুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
রিপনের লড়াইটা অবশ্য ইবাদত হোসেন, ইকবাল হোসেন ইমন, শহিদুল ইসলামের মতো পেসারদের সঙ্গে। বিদেশি পেসারদের সঙ্গে দেশিদের মাঝে কে সুযোগ পাবেন সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইবাদত, শহিদুলরা এখন পর্যন্ত সুযোগ না পেলেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন রিপন। নিজের সবশেষ ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ফলে ইবাদতদের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে নিজেকে প্রমাণ করছেন তরুণ এই পেসার।
এ প্রসঙ্গে রিপন বলেন, ‘ইবাদত ভাইয়ের যে কথাটা বললেন আমাদের দলে যেহেতু অনেক বড় বড় তারকা। এগুলোকে মাথায় নিয়ে শুধু খেলাগুলো উপভোগ করছি। আমি যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করি আমি যেন নিজেদের শতভাগ দিতে পারি। আমি যদি আমার নিজের শতভাগ দিতে পারি তাহলে এটা দলের জন্য ভালো, আমার জন্যও ভালো।’