পিএসএল খেলতে ইসিবির কাছে এনওসির স্পষ্টতা চান ইংলিশ ক্রিকেটাররা
ছবি: পিএসএলে পেশাওয়ার জালমির হয়ে খেলবেন টম কোহলার-ক্যাডমোর
৬ ইংলিশ ক্রিকেটার দল পেলেও পিএসএলে খেলতে পারবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই। গত নভেম্বরে বিদেশি লিগ খেলার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুম চলাকালীন অন্য বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলতে ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দেবে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
পিএসএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে ১৯ দেশের ৫১০ বিদেশি ক্রিকেটার
৭ জানুয়ারি ২৫এমনটা হলে বড় ধাক্কা খাবে পিএসএল ও যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কারণে চলতি বছরের পিএসএলে হবে এপ্রিল-মে মাসে। একই সময়ে চলবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। ফলে নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাঁচাতে বিদেশি লিগে খেলার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ইসিবি। যদিও শুরু থেকেই এমন নিয়মের বিরোধীতা করে আসছেন ক্রিকেটাররা।
কাউন্টিতে সাদা বলের চুক্তিতে আছেন এমন ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগ খেলার অনাপত্তি পত্র দেয়া হবে যদি না সেটি টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট অথবা দ্য হান্ড্রেডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। এমনটা হলে বিলিংস, কারান, জর্ডান এবং উইলি পিএসএল খেলার অনাপত্তি পত্র পেয়ে যাবেন। কোহলার-ক্যাডমোর ও ভিন্সের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন।
ইংল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সাউদিকে বিদায়ী উপহার কিউইদের
১৭ ডিসেম্বর ২৪সমারসেটের সঙ্গে কোহলার-ক্যাডমোর এবং হ্যাম্পশায়ারের সঙ্গে সব সংস্করণের চুক্তি আছে ভিন্সের। ৮ এপ্রিল শুরু হওয়া পিএসএল শেষ হবে ১৯ মে। ফলে পিএসএলের পুরো মৌসুম খেললে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তত ছয়টি ম্যাচ মিস করবেন তারা দুজন। পিএসএলে খেলতে হলে সব ফরম্যাটের চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে কোহলার-ক্যাডমোর ও ভিন্সকে। আপাতত এনওসি নিয়ে স্পষ্টতা চেয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
ইএসপিএন ক্রিকইফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিএসএলের ড্রাফটের নাম দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ৬ ক্রিকেটার। তবে ড্রাফটের আগে পিসিবিকে তারা জানিয়ে দেয় পিএসএলের জন্য ছাড়া হবে তাদের। সেই তালিকায় ছিলেন সবশেষ জুন থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে না খেলা জনি বেয়ারস্টোর এবং ইল্যান্ডের সাদা বলের স্পেশালিস্ট ক্রিকেটার আদিল রশিদ।