সুযোগ থাকলে জাতীয় দলে কাজ করতে চান সুজন
ছবি: অনুশীলনে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে খালেদ মাহমুদের খুনসূুটি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
কোচিংয়ের পাশাপাশি সবশেষ নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার। যদিও মাস কয়েক আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন সুজন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, কোচিংই যেহেতু তাঁর পেশা তাই কোচিং করে যেতে যান নিয়মিতভাবে। আগামী ডিপিএলে আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে অনুমেয়ভাবেই থাকবেন সুজন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। বিপিএলকে সামনে রেখে ২৬ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নেমেছে ঢাকা। যেহেতু কোচিংয়ের সঙ্গেই যুক্ত আছেন তাই সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভবিষ্যতে জাতীয় দলের প্যানেলে যুক্ত হতে চান কিনা। বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার আগ্রহ প্রকাশ করে রাখলেন।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট স্যারকে আমিই বলে এসেছিলাম, যেহেতু কোচিং করাই, তাদের যদি মনে হয় আমি সামর্থ্যবান, তাহলে দায়িত্ব দেওয়া হলে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে তৈরি আছি। এখন জানি না কী অবস্থা। কারণ দেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।… হ্যাঁ, যেহেতু আমার পেশা কোচিং, যদি সেরকম সুযোগ থাকে, আমি অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে আগ্রহী।’
বোর্ডে থাকার সময় জাতীয় দলের কোচিংয়ে যেমন যুক্ত হয়েছিলেন তেমনি টিম ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন সুজন। এ ছাড়া বিসিবিতে যুক্ত থাকার সময় ডিপিএল, বিপিএলে নিয়মিতই কোচিং করিয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাঁর বিপক্ষে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের অভিযোগ ছিল। তবে সুজন মনে করেন, এটা মানুষের বানানো জিনিস।
সুজন বলেন, ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট ছিল, এটা আমি কখনোই মনে করি না। এটা একটা বানানো জিনিস ছিল। কাজ করলে যদি আমি সৎ থাকি, তাহলে আসলে কোনো সমস্যা হয় না।’
বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে দেশি কোচদের যুক্ত করার আবদার ছিল অনেক আগে থেকেই। অবশেষে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে বাংলাদেশের সমর্থকদের সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে পুরোপুরি। সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন দায়িত্ব পেয়েছেন আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
সালাহউদ্দিনের জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হওয়ার খবরে খুশি হয়েছেন সুজন নিজেও। তবে জাতীয় দলে বাংলাদেশের কোচদের স্থিতিশীলতা বাড়াতে লম্বা সময় সুযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সুজন জানান, ফিল সিমন্সের পরিবর্তে বাংলাদেশের কোন কোচ যদি সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এভাবে হারতো তাহলে তাকে বিসিবিতে ঢুকতেই দেয়া হতো না। সেই সঙ্গে দেশের কোচরা প্রস্তুত না এমন কথা মানতে নারাজ তিনি।
সুজন বলেন, ‘সালাউদ্দিন যদি ৩ বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলে কাজ করে, পারফরম্যান্সে ওঠা-নামা থাকতেই পারে। কিন্তু একটা সিরিজে খারাপ করলেই যদি বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো স্থিতিশীলতা আসবে না। আপনি তো বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে এটা করেন না। চুক্তির অনেক বিষয় থাকে, তিন মাসের বেতন দিয়ে বাদ দিতে হবে।’
‘ফিল সিমন্স যখন (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয়ে) শুরু করল, বাংলাদেশের কোনো কোচ হলে তো আপনি তাকে আর বিসিবিতেই ঢুকতে দিতেন না। তো আপনাকে (দেশি কোচদেরও) সময় দিতে হবে। বাংলাদেশের কোচরা প্রস্তুত নয়, এই কথা ভুল।’