promotional_ad

নার্ভাস মিশুর অনুপ্রেরণার উৎস মাশরাফি

promotional_ad

গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) একটি ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নেমে ৪০ রানে একাই ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন গাজী গ্রুপের ইয়াসিন আরাফাত মিশু।


বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৮ উইকেট শিকার করা সেই মিশু যে বিবেচনায় থাকবেন নির্বাচকদের এটি সহজেই অনুমিত ছিলো। মাশরাফিদের বিপক্ষে বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করা সেই মিশুকে সম্প্রতি ৩১ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে রেখেছেন নির্বাচকেরা।


তবে মজার বিষয় হলো, ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার বিষয়টি নাকি নিজে কখনোই ভাবতে পারেননি মিশু। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভিড়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন কিনা এই নিয়েও সন্দিহান ছিলেন তিনি।


সম্প্রতি বাংলা দৈনিক মানবজমিনের সাথে আলাপকালে ১৯ বছর বয়সী মিশু নিজেই স্বীকার করেছে এই বিষয়টি। তবে এরই মধ্যে নাকি নিজেকে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। আর এর সবই হয়েছে মাশরাফি, তামিম, রিয়াদদের বদৌলতে। ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিশু বলছিলেন,



promotional_ad

'প্রথম দিন ক্যাম্পে এসে খুব নার্ভাস ছিলাম। কি করবো, কাকে কি বলবো কোনো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। একটা সময় মনে আমি হয়তো এত সিনিয়রদের মাঝে মানিয়ে নিতে পারবো না। কিন্তু ধীরে ধীরে মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই কথা বলতে শুরু করলেন। একটু সাহস পেলাম। এখন ধীরে ধীরে সেট হচ্ছি।'


জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন কিনা সেটি নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবনা নেই মিশুর। ক্যাম্পে এসে এরই মধ্যে বুঝতে পেরেছেন দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া আদতে কতটা কঠিন। তবে এখান থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো আগামীতে কাজে লাগাতে ইচ্ছুক তিনি। মিশুর ভাষ্যমতে,


'আমি জাতীয় দলে সুযোগ কবে পাব বা পাব কিনা তা নিয়ে ভাবছি না। এখান থেকেই আমি বুঝতে পেরেছি দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেটের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কতটা কঠিন। তাই এ শিক্ষাগুলো সামনে কাজে লাগাতে চাই।'


ক্যাম্পে ডাক পেয়ে যখন নিজেকে মানিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় গলদঘর্ম হচ্ছিলেন, ঠিক সে সময়েই মিশুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিশুসহ নতুন ডাক পাওয়া সকলের সাথেই তিনি নিজে থেকে এসে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বলা যায় অথই সাগরে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছেন মাশরাফি। এই প্রসঙ্গে মিশু বলেন,



'মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতেও সাহস লাগে। তিনি আমাদের দেখে কথা বলেছেন। তার প্রথম কথাটি ছিল- তোরা সুযোগ পেয়েছিস, নতুন। কিন্তু যে কারণে এ সুযোগ সেই লক্ষ্যটা যেন ঠিক থাকে। যে কাজের জন্য এখানে আসা সেটি যেন সঠিক ভাবে হয়। আমি তার এ কথাগুলো মনের মধ্যে গেঁথে নিয়েছি।'


বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে খেলে আসা মিশু যেন বর্তমানে নিজেকে আবিষ্কার করছেন নতুনভাবে। কেননা বয়সভিত্তিক দলের ফিটনেস কিংবা স্কিল ট্রেনিংয়ের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন জাতীয় দলের এই ক্যাম্প। ফিটনেস লেভেলের পার্থক্য প্রথম দিন থেকেই বুঝতে পেরেছেন তিনি। তরুণ এই পেসার বলছিলেন,


'আমি যে বয়স ভিত্তিক দলে খেলেছি বা সেখানে যেভাবে ফিটনেস ট্রেনিং করেছি, স্কিল ট্রেনিং করেছি এখানে তা অনেক পার্থক্য। প্রথমদিনই আমার ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ভীষণ কষ্ট হয়েছে। তখনই বুঝেছি এই লেভেলে ফিটনেস বড় একটি পার্থক্য। তবে এখন যেহেতু বুঝতে পারছি তাই আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হবো। নিজেকে এ কঠিন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে আরো কঠোর পরিশ্রম করবো।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball