বাংলাদেশকে হৃদয়ে লালন করেন গর্ডন গ্রিনিজ

ছবি:

হোটেল সোনারগাঁয়ের বলরুম যেন সোমবার ক্রিকেট তারকাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো। আইসিসি ট্রফি জয়ী সাবেক ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বর্তমান ক্রিকেটাররাও এসেছিলেন এদিন।
আর এত কিছু আয়োজনের মূল কেন্দ্র বিন্দুতে যিনি ছিলেন তিনি হলেন টাইগারদের নতুন দিনের সূচনার পথ প্রদর্শক এবং আইসিসি ট্রফি জয়ী কোচ কিংবদন্তী গর্ডন গ্রিনিজ।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়া গ্রিনিজ ঢাকায় এসেছিলেন মূলত বার্বাডোজে নিজের নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি গ্রন্থাগারের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে। আর এই ফাঁকে সাবেক শিষ্যদের সাথে সাক্ষাৎ করারও একটি উদ্দেশ্য ছিলো তাঁর।
গ্রিনিজের সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার একটি পুনর্মিলনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো যেখানে অংশ নিয়েছিলেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, নাইমুর রহমান দুর্জয় সহ আরো অনেক তারকারা।

অনুষ্ঠানের বক্তৃতা পর্বে কথা বলতে গিয়ে গ্রিনিজ বেশ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশে ফিরে জানিয়েছেন এদেশের কথা কখনোই ভুলতে পারবেন না তিনি। শুধু তাই নয়, সারা জীবন এদেশকে হৃদয়ে লালন করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন গ্রিনিজ। কিংবদন্তী এই কোচ বলেছেন,
'সবাই আবার এক হবো তা কখনো ভাবতে পারিনি। কত শত স্মৃতি, ভালোলাগা, ভালোবাসা। বাংলাদেশ সবসময় আমার মনের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে।'
এদিকে গ্রিনিজকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া আকরাম খানও। ক্যারিবিয়ান এই কোচকে নিজেদের অভিভাবক হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন,
'ওকে তো সবাই বলে কোচ, তবে আমরা মনে করি সে আমাদের কোচ ছিলো না, সে আমাদের অভিভাবক ছিলো। আর আমাদের সময় এত সুযোগ সুবিধাও ছিলো না।'
আকরামের পাশাপাশি বর্তমান যুগের দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার এবং রুবেল হোসেনও দারুণ উচ্ছ্বসিত দেশের ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটানো এই কোচের সাক্ষাৎ পেয়ে।
গ্রিনিজকে সামনে দেখতে পেরে সৌম্যর ভাষ্য ছিলো, 'অবশ্যই ভালো লাগার একটি বিষয় যে তাঁকে সামনাসামনি দেখতে পেরেছি, তাঁর কথা শুনতে পারলাম।'
আর রুবেলও নিজেকে গর্বিত মনে করছেন এমন একজন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরে। তাঁর ভাষ্যমতে, 'তিনিই সূচনাটি করে দিয়েছিলেন। তাঁকে এই প্রথম দেখলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে এই ধরণের একজন মানুষের সাথে পরিচয় হতে পেরে।'