রশিদ,মুজিবদের কিভাবে সামলাবে বাংলাদেশ?

ছবি:

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবেই বিবেচিত করা হয় আফগানিস্তানের রশিদ খানকে। তাঁর বোলিং ঘূর্ণির সামনে বিপর্যস্ত হননি এমন ব্যাটসম্যান খুব কমই আছে।
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসরেও বল হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী এই আফগান। এখন পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে ১০ ম্যাচে ১৩টি উইকেট শিকার করেছেন রশিদ।
যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ৭.১৫। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিচারে এই রেট যথেষ্ট ভালো হিসেবেই ধরা হয়। রশিদ খানের পাশাপাশি তাঁরই স্বদেশী আরেক স্পিনারে মুজিবুর রহমানও প্রতিনিয়ত নিজেকে মেলে ধরছেন আইপিএলের আসরে।
মাত্র ৬.৬৯ ইকোনমি রেটে ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলা মুজিব। শুধু আইপিএলেই নয়, জাতীয় দলের জার্সিতেও যে এই দুই আফগান সমান ভয়ঙ্কর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সামনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। আর সেই সিরিজে রশিদ এবং মুজিবের দিকেই যে তাকিয়ে থাকবে তাঁর দল তা বলাই বাহুল্য।
আর এই দুই স্পিনারকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও। তাঁর মতে রশিদ এবং মুজিবকে খেলাটাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মুশফিক বলেছেন,
'রশিদ খান তো একজন বিশ্বমানের বোলার। আইপিএলে এক ম্যাচ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ছয় সাতের বেশি কোনো ওভারে কেউ নিতে পারেনি। আমাদের জন্য তাই চ্যালেঞ্জিং হবে। পার্সোনালি আমি কিছু কাজ করছি। কোন শট খেললে স্কোর করতে পারবো, তা নিয়ে কাজ করছি।'
আফগানদের বিপক্ষে পরিকল্পনা মাফিক খেলতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন মুশফিক। রশিদের পাশাপাশি মুজিবকে সামলানোর জন্যও বাড়তি হোমওয়ার্ক করতে হবে দলকে জানিয়ে মুশি বলেন,
'ওদের শুধু রশিদ খান না, মুজিবও নতুন বলে বল করে থাকে। আমাদের ওইভাবে পরিকল্পনা করতে এগোতে হবে। আশা করি আমরা পারবো। কারণ আমাদের উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটার আছে। তারা যদি ক্লিক করে তাহলে এটি খুব ভালো একটা সিরিজ হবে।'
নিজেদের পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দিকেও নজর দিচ্ছেন টাইগারদের এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। দল হিসেবে রণকৌশল সাজাতে হবে বেশ দক্ষতার সাথে জানিয়ে মুশফিকের ভাষ্য,
'দল হিসেবে একটা ভালো পরিকল্পনা করতে হবে, তা যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। টি-টোয়েন্টি এমন একটি খেলা, যেখানে একজন বোলারকে দেখে খেলার সুযোগ নাই। অবশ্যই একটা পরিকল্পনা করতে হবে, যেখানে একটু ঝুঁকি নিয়ে হলেও যাতে রানটা আমি করতে পারি।'