অভিজ্ঞ সাকিবেই জয় তরান্বিত হয়েছে হায়দ্রাবাদের
ছবি:

১৩৩ রানের টার্গেট টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে একেবারেই মামুলি বলে চালিয়ে দেয়া যায়। আর আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এই স্কোর তাড়া করে জয় তো বলা যায় একেবারে জলবৎ তলরংয়ের মতোই বিষয়।
কিন্তু এই রানই কিনা টপকাতে ব্যর্থ হলো ক্রিস গেইল, অ্যারন ফিঞ্চ, লোকেশ রাহুলদের মতো হার্ডহিটারদের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব! সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে আইপিএলের ২৫তম ম্যাচে ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১১৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাঞ্জাব।
ফলে ১৩ রানের দারুণ এক বিজয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে উঠে এসেছে হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদের এই জয়ের পেছনে অবশ্য মূল কৃতিত্ব ছিলো টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খানের।
কেননা ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রানে ২টি উইকেট শিকার করে পাঞ্জাবের মেরুদন্ডে চিড় ধরিয়েছিলেন সাকিব। এই দুই উইকেটের মধ্যে আবার একটি ছিলো অ্যারন ফিঞ্চের মতো ক্রিকেটারের। সাকিবের পর বাকি কাজটি করেছেন রশিদ।

৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৯ রানে লোকেশ রাহুল, করুন নায়ার এবং রবিচন্দ্র অশ্বিনের উইকেট ৩টি তুলে নেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাই দলের স্পিনারদের প্রশংসায় ভাসাতে ভুল করেননি হায়দ্রাবাদের বোলিং কোচ লঙ্কান লিজেন্ড মুত্তিয়া মুরলিধরন। তিনি বলেছেন,
'আমাদের বেশ ভালো স্পিনার আছে রশিদ খান এবং সাকিবের মতো। রশিদকে আপনি তরুণ বলতে পারেন, তবে সাকিব অনেক অভিজ্ঞ। এই দুই স্পিনার ছাড়াও নবীর কথা বলতে হবে। সেও কিন্তু বেশ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সবমিলিয়ে আমাদের স্পিন অ্যাটাক দুর্দান্ত।'
মুরলির মতে হায়দ্রাবাদ অন্তত ১৫ রান কম করেছিলো। তবে এরপরেও দারুণ বোলিংয়ের কারণেই পাঞ্জাবকে থামানো সম্ভব হয়েছে। সাবেক এই লঙ্কান কিংবদন্তীর ভাষ্যমতে,
'আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন বেশ কঠিন ছিলো রান পাওয়া। আমরা ভেবেছিলাম ১৪০ অথবা ১৫০ ভালো একটি স্কোর হতো, তবে আমরা ১৫ রান কম করেছি। তবে এরপরেও আমাদের বোলিং দিয়ে তাদের থামাতে পেরেছি।'
উইকেট যে খুব একটা সাহায্য করেনি সেটিও স্বীকার করেছেন মুরলিধরন। মূলত জায়গামতো বল ফেলতে সক্ষম হওয়াতেই হায়দ্রাবাদ বোলাররা সাফল্য পেয়েছে বলে বিশ্বাস তাঁর। মুরলি বললেন,
'উইকেট খেলার জন্য খুব একটা সহজ ছিলো না। সুতরাং আমি তাদের বলেছি জায়গামতো বল ফেলতে এবং অবশ্যই আমরা এই রান ডিফেন্ড করতে পারবো।'