টেল এন্ডারদের মাটি কামড়ানো ইনিংসে সিরিজ কিউইদের

ছবি:

আগের দিন ৪২ রানে উইকেটশুন্য অবস্থায় ছিল কিউইরা। শেষদিনে তাদের ৩৪০ রানের কঠিন লক্ষ্য ছিল জয়ের জন্য। তবে জয়ের সমীকরণে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি নেয়নি স্বাগতিকরা।
বরঞ্চ লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে অকল্যান্ড টেস্ট ড্র করে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা। পঞ্চম দিনের শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে আসেন কিউই ওপেনার জিত রাভাল (১৭)।
এরপরে আরেক ওপেনার টম ল্যাথামকে একপাশে রেখে নিয়মিত বিরতিতে আশা যাওয়া করেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। ১৩৫ রানের মধ্যেই ব্রড, লিচদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা।
৮৩ রান করে ল্যাথাম যখন বিদায় নেন তখন কিউইদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৬২ রান। এরপরে ৫৭ রানের জুটি করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং স্পিনার ইশ সোধি। আগের ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো গ্র্যান্ডহোম ৯৭ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নিলেও ম্যাচ ড্র করেই মাঠ ছাড়েন সোধি।

এর আগে ওয়াটলিং ৬৬ বলে ১৯ রান করে আউট হন। বিশেষ করে লিখতেই হয় পেসার নেইল ওয়াগনারের কথা। ইনিংসের ১২৪.৪ বলে তিনি যখন ৭ রানে আউট হয়েছিলেন, তখন তার নামের পাশে ১০৩ টি বল! আর ৫৬* রানে অপরাজিত সোধি খেলেছেন মোট ১৬৮ টি বল।
রুট ওয়াগনারের উইকেট নেওয়ার পরেই ড্র ঘোষণা করা হয় ম্যাচটিকে। তখনো আরও দুই বল বাকী ছিল যদিও। সব মিলিয়ে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৬ রান করে কিউইরা, ১২৬ রান পিছিয়ে থাকলেও অকল্যান্ড টেস্টটি কৃতিত্বের সঙ্গেই ড্র করেছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ-
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩০৭ (৯৬.৫ ওভার)
(মার্ক স্টোনম্যান ৩৫, জো রুট ৩৭, বেন স্টোকস ২৫, জনি বেয়ারস্টো ১০১, মার্ক উড ৫২; ট্রেন্ট বোল্ট ৪/৮৭, টিম সাউদি ৬/৬২)।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ২৭৮ (৯৩.৩ ওভার)
(কেন উইলিয়ামসন ২২, বিজে ওয়াটলিং ৮৫, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৭২, টিম সাউদি ৫০, নেইল ওয়াগনার ২৪*, ট্রেন্ট বোল্ডট ১৬*; জেমস অ্যান্ডারসন ৪/৭৬, স্টুয়ার্ট ব্রড ৬/৫৪)।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৫২/৯ডি (১০৬.৪ ওভার)
(মার্ক স্টোনম্যান ৬০, জেমস ভিন্স ৭৬, জো রুট ৫৪, ডাউইড মালান ৫৩, জনি বেয়ারস্টো ৩৬, জ্যাক লিচ ১৪*; ট্রেন্ট বোল্ট ২/৮৯, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৪/৯৪, নেইল ওয়াগনার ২/৫১)।
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ২৫৬/৮ (১২৪.৪ ওভার)
(টম লাথাম ৮৩, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৪৫, ইশ সোধি ৫৬*; জেমস অ্যান্ডারসন ১/৩৭, স্টুয়ার্ট ব্রড ২/৭২, মার্ক উড ২/৪৫, জ্যাক লিচ ২/৬১)।
ফলাফলঃ- ম্যাচ ড্র