নাসিরের বিদায়ে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে মাশরাফিরা

ছবি:

ডিপিএলের সুপার সিক্স রাউন্ডে নিজেদের গত ম্যাচে গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭৩ রানের দারুণ একটি জয় পেয়েছিলো নাসির-মাশরাফিদের দল আবাহনী লিমিটেড। এবার টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আজ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি।
ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন আবাহনীর অধিনায়ক নাসির হোসেন। আর নাসিরের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতীয় রিক্রুট উন্মুক্ত চাঁদের দারুণ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান সংগ্রহ করেছে শেখ জামাল।
উন্মুক্ত চাঁদের ১০১ রানের ইনিংসটি ছাড়াও আরেক ওপেনার সৈকত আলি করেছেন ৫৬ রান। এছাড়াও অলরাউন্ডার তানবির হায়দার ৩১ এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৯ রান করেন। বাদবাকি ব্যাটসম্যানদের আর কেউই সেভাবে বলার মতো রান করতে পারেননি।
আবাহনীর পক্ষে সবথেকে সফল বোলার ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শেখ জামালকে কম রানে আটকে রাখার পেছনে মূলত তাঁর কৃতিত্বই সবথেকে বেশি ছিলো। কেননা ১০ ওভার বোলিং করে ১ মেইডেন সহ ৪৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
যার মধ্যে সেঞ্চুরিয়ান উন্মুক্ত চাঁদের উইকেটটিও ছিলো। ২টি করে উইকেট নিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেসকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। এখন পর্যন্ত এই ম্যাচটি সহ ১৩ ইনিংসে ৩৫ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মাশরাফি।

এদিকে এরই মধ্যে শেখ জামালের ছুঁড়ে দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে আবাহনী। তবে অবাক করার বিষয় হলো আজ ওপেনিংয়ে আনামুল হক বিজয়ের সাথে ব্যাটিংয়ে নামেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যদিও ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৭ রান করে আবু জায়েদ রাহির বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
মাশরাফি ফেরার পর ৫৪ রান তুলতেই আরো ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী। এরপর অবশ্য হানুমা বিহারি এবং অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৩৫ রানের জুটিতে কিছুটা বিপদ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলো আবাহনী। কিন্তু দলীয় ৮৯ রানের মাথায় বিহারিকে (২৩) বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান রবিউল হক।
৮৯ রানের মাথায় ৫ উইকেট খুইয়ে বসা দলের মূল ভরসা হয়ে অবশ্য তখনও ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। কিন্তু সেটিও খুব বেশীক্ষণের জন্য নয়। দলীয় ১১২ রানের মাথায় তাঁর স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন শেখ জামাল অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। ২৮ রান করে নাসিরের প্রস্থানে আবাহনীর স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১২৩ রান। ক্রিজে বর্তমানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে ব্যাটিংয়ে যোগ দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
উল্লেখ্য আবাহনীর ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামানোর মুল কাজটি করেছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। এখন পর্যন্ত ৬ ওভার বোলিং করে ২টি মেইডেন সহ ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যেখানে মাশরাফির উইকেটটিও ছিলো। পাশাপাশি মোহাম্মদ মিথুন এবং নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফিরিয়েছেন তিনি।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব-
সৈকত আলি, উন্মুক্ত চাঁদ, রাকিন আহমেদ, তানবির হায়দার, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, জিয়াউর রহমান, রবিউল হক, ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজি।
আবাহনী লিমিটেড-
আনামুল হক বিজয়, নাজমুল হাসান শান্ত, হানুমা বিহারি, নাসির হোসেন (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন (উইকেটরক্ষক), মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, সানজামুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, সাকলাইন সজীব।