promotional_ad

ক্রিকেটকে মারবেন না প্লিজ

promotional_ad

দেবব্রত মুখোপাধ্যায়


 


জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পার হতে না পারায় তাদের একজন সমর্থক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাদের সমর্থক গোষ্ঠীর একজন নেতৃস্থানীয় মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এই ধাক্কা লাগাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।


১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারছে না। টানা তিন বার আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া জিম্বাবুয়ে নিজগুনেই এক সময় বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছিলো। তাদের সেই সোনালী দিন নেই।


তারপরও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা এই দলটি হারিয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। জিম্বাবুয়ের এই সমর্থকের মৃত্যুর দায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নয়। এই মৃত্যুর দায় আইসিসির। এই মৃত্যুর দায় আইসিসির গ্লোবালাইজেশনের নামে উল্টো পথে হাটার নীতির।



promotional_ad

সেই জগমোহন ডালমিয়া প্রথম শব্দটা শুরু করেছিলেন-ক্রিকেটের গ্লোবালাইজেশন। গ্লোবালাইজেশনের নামে অনেক মন্দ কাজও হয়েছে এই খেলাটা নিয়ে। কিন্তু এটা স্বীকার করতে হবে যে, ডালমিয়ার সময়ে আর কিছু না হোক, সত্যিই ক্রিকেটটা ছড়িয়েছিলো বেশ কিছু দেশে।


গ্লোবালাইজেশন শব্দটা এখনও আইসিসি উচ্চারণ করে থাকে। এখনও তারা বলে, ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় তারা। কিন্তু সেই ছড়িয়ে দেওয়ার নামে খেলাটাকে সংকুচিত করতে করতে আজ এমন জয়িগায় নিয়ে এসেছে, যেখানে ‘ছোট দল’গুলোর ক্রিকেট খেলারই আর কোনো অর্থ নেই।


আইসিসি এখন উল্টো পথে হাটা শুরু করেছে। এক সময় ৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো তারা। সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২০০৭ সালে ১৬ দলে পরিণত হয়েছিলো। এখন অবধি সেটাই ছিলো বিশ্বকাপের সেরা ফরম্যাট। কিন্তু কিছু রহস্যময় কারণে চার গ্রুপে ১৬ দল খেলার সেই ফরম্যাট থেকে সরে আসলো আইসিসি।


২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলা হলো ১৪ দল নিয়ে। এটাও একরকম মানা যায়। এবার, ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য আইসিসি নেমে আসলো এক লাফে ১০ দলে। ১০ দল নিয়ে বিশ্বকাপ! এটা কী ছেলেমানুষী? হ্যা, ছেলেমানুষীই করছে আইসিসি। তারা বলে শতাধিক দেশে এখন ক্রিকেট খেলা হচ্ছে।


আইসিসির সদস্য সংখ্যা ১০৪টি। সেখানে মাত্র ১০টি দলকে আপনি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। একে বিশ্বকাপ বলাটাই তো হাস্যকর একটা ব্যাপার। এই ১০ দল করার পেছনে আইসিসির যুক্ত হলো, দল বেশী থাকলে প্রতিদ্বন্ধীতামূলক খেলা কম হয়। আরও হাস্যকর কথা।



এই জিম্বাবুয়ে বাদ পড়লো। তারা ক দিন আগে ঢাকার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। এই যে আয়ারল্যান্ড বাদ পড়লো। বিশ্বকাপেই তাদের বলার মতো সব পারফরম্যান্স আছে। আজ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা আফগানিস্তান বাদ পড়তো; তাহলে তারা কী বিশ্বকাপ খেলা কোনো দেশের চেয়ে কম যোগ্য হতো?


বিশ্বকাপে যে দলগুলো খেলছে, তাদের চেয়ে এই বাছাইপর্ব পার হতে না পারা অন্তত ৪টি দলের ক্রিকেটীয় যোগ্যতা খুব কম নয়। এদের বাইরে রেখে আপনি একটা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেন না। বলতে পারেন যে, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড বা স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতবে না। তাই তাদের বাইরে রাখা হচ্ছে।


তাহলে ফুটবল বিশ্বকাপের দিকে তাকান। এই যে এশিয়া থেকে চীন, জাপান প্রতি বার বিশ্বকাপ খেলতে যায়, তারা কী বিশ্বকাপ জিততে যায়? সবাই জানে, এরা বিশ্বকাপ জিতবে না। কিন্তু এরা কিছু ম্যাচে লড়াই করবে। বড় দলগুলোর বিপক্ষে অঘটন ঘটিয়ে বিশ্বকাপের সমীকরণ বদলে দেবে; এটাই বিশ্বকাপ নামের একটা টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য।


আর এই সৌন্দর্যটাই ধরতে পারছে না আইসিসি। আইসিসি অবশ্য কী যে ধরতে পারে! কেনিয়ার মতো একটা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ আইসিসির পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে গেলো। এখন জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডেও খেলাটা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে। আইসিসি বসে বসে তামাশা দেখবে। সেই সাথে এই অযোগ্য, অথর্ব সংগঠনটি গ্লোবালাইজেশনের কথা বলে যাবে। এমন হাস্যকর কথাও আমাদের বারবার শুনতে হবে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball