আম্পায়ার ইস্যুতে আইসিসির দরজায় যাচ্ছে বিসিবি

ছবি:

আম্পায়ার বিতর্কের শুরু হয়েছিলো নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে। শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নামা বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষ ওভারের ঘটনা।
ওভারের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন উদানা। এর পরের বলটি দিয়েছেন আগের বলের চেয়েও সামান্য ওপরে। আর তখন লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দেন, কিন্তু আরেক আম্পায়ার সেটা দেন না।
ঐ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে আনতে গিয়ে রান আউট মুস্তাফিজ। সেই আম্পায়ার ঐ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত হস্তান্তর করেন। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের ড্রিঙ্কস বয়রা তখন মাঠে ঢোকেন। মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন।
ওদিকে নিচে নেমে সাকিব মাঠের বাইর থেকে মাহমুদউল্লাহদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে নো বল গ্রাহ্য না করে মুস্তাফিজকে আউটও দেওয়া হয়েছে! এরপরে চতুর্থ আম্পায়ার এসে সাকিবকে বোঝান।

ঐ সময়ে মাঠে জড়ো হন খালেদ মাহমুদ সুজন সহ পুরো ড্রেসিংরুমের লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারো ড্রেসিং রুমে যান সাকিব।
টি-টুয়েন্টি ওভারে দুটি বাউন্স দেওয়া হলে পরের বাউন্সটিকে নো বল হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু আম্পায়ার বোলারকে প্রথম বাউন্সারের সিগন্যালও দেননি। পরের নো বলটিও দেননি। সাকিবের রাগের কারণ ছিল এটাই।
কিন্তু স্ট্রাইকে তখনো ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে ৪ বলে দরকার ১২ রান নিয়ে দলকে অসাধারণ এক জয় পাইয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশ হয়তো সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে, তবে বিতর্কে থেকে যায় ম্যাচের আম্পায়ারিং।
আর এবার জানা গেলো সেই ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির দরজায় যাবে বাংলাদেশ। যদিও নিদাহাস ট্রফি আইসিসির কোনো ইভেন্ট নয়, আর তাই বিষয়টিকে আইসিসি কিভাবে নেবে সেটাও চিন্তা করছে বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী একাত্তর টিভিকে জানান,
"টেকনোলোজির হিসেবে সেই ওভারে দুটো বাউন্স ছিল, আর টি-টুয়েন্টিতে আমরা সুবিধাটা পেয়ে যেতাম। তবে যেহেতু এটা আইসিসির কোনও টুর্নামেন্ট না, সেক্ষেত্রে আবেদন করে কতটুকু সাড়া পাওয়া যায়, সেটাই দেখার বিষয়।
"বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমাদের আলোচনায় এসেছে। বোর্ডে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের সাথে আইসিসির বিভিন্ন বিষয়ে যখন কথা হবে, আমরা তখন বিষয়গুলো উত্থাপন করার চেষ্টা করবো।"