তবুও গর্বিত সাকিব

ছবি:

রবিবার ফাইনালে ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নাচিয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেই ওভারে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
এমনকি মানিশ পান্ডের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্নও দেখান এই পেসার। কিন্তু রুবেল হোসেনের ১৯তম ওভারে এসে ২২ রান তুলে দলকে আশার আলো দেখান ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্ত্তিক।
এরপর শেষ ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকারকে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ করেন এই উইকেট রক্ষক। তবে ম্যাচ হারলেও হতাশ হতে নারাজ সাকিব। সব কিছুর মধ্যে থেকে পজিটিভ কিছু খুঁজার চেষ্টা করেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন তার দল সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে ম্যাচ জেতার। তারপরও তিনি গর্বিত তার দলের উপর। সাকিব বলেন, সৌম্য এবং মুস্তাফিজের শেষ সময়ের স্পেলই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে।

রুবেল প্রথম ৩ ওভারে খুব ভালো বল করেছে। সবাই ভালো করেছে। কাউকে দোষ আমি দিতে পারবো না। হয়ত দু’টি ওভার খারাপ হয়েছে পুরো ম্যাচে, মিরাজের একটি, আর রুবেলের ওই ওভার।
এটা হতেই পারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আমি শুধু বলতে পারি, আমি পুরো দলের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে গর্বিত। মুস্তাফিজ সেই অসাধারণ ওভারটি করার পর, ২ ওভারে ওদের ৩৪ দরকার ছিল।
রুবেল আজ ছিল তখনও পর্যন্ত আমাদের সেরা বোলার। ৩ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করেছিল। মাত্র ১৩ রান দিয়েছিল। ওর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। অনেকবারই শেষের দিকে দলের জন্য কাজটা করে দিয়েছে ও।
আমি ভেবেছিলাম যে রুবেল বাজে বল করলেও হয়ত ১৫ রান দেবে। শেষ ওভারে সৌম্যর জন্য ২০ রান থাকবে, হয়ত বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকবে। এজন্যই রুবেলকে ১৯তম ওভারে এনেছিলাম। আজ হয়নি।’
এদিকে অনিয়মিত হয়েও সৌম্য যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে রীতিমত মুগ্ধ এই টাইগার দলপতি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার দিক থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এসব মুহূর্তে আমি মনে করি কিছু না বলাই ভালো। আমি শুধু ওকে বলেছিলাম, একটু সময় নিতে। কারণ তাড়াহুড়ো করলে যেটা
টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করার কথা সেটা করা হয়ে ওঠে না। সময় নিতে বলেছিলাম। আজকে দিনে ওর যে ৩ ওভার, অনেক দিনে অনেকের চার ওভারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’