সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই এতগুলো টেস্ট!

ছবি:

২০১৯-২০২৩ পর্যন্ত, আগামী চার বছরে ৩৫ টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। তবে হটাত করে এতো বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা সম্ভব ছিল না টাইগারদের, যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাংগঠনিক দক্ষতা এতোটা বা থাকতো-- এমনটা দাবী করছেন বিসিবির হেড অফ মিডিয়া জালাল ইউনুস।
সময় টিভিকে তিনি জানিয়েছেন, "২০০৯ সালের কথা, তখন ইসিবির প্রেসিডেন্ট ছিল ডেভিড মরগান। তারা সভা করেছিলো, যেখানকার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশকে টেস্ট ক্রিকেটের মূল জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য কোনো টায়ারে আনা যায় কিনা!
সেটা আমরা গত কয়েক বছরে একদম স্তব্ধ করে দিয়েছি, কেননা আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সফর করেছি আমরা। নিউজিল্যান্ডে হারলেও সেখানে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।"

এদিকে আগামী কয়েক বছরে বেশিরভাগ সময়ে দেশের বাইরে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর তাই মানসিকভাবে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে লম্বা সময়ের পরিকল্পনার প্রস্তাব তার। জানিয়েছেন,
"আগামী কয়েক বছরেও আমরা দেশের বাইরে খেলবো। সেখানে খেলতে গেলে আমাদের মাইন্ড সেট বা সাইকোলজিক্যাল বিষয় ঠিক রাখা দরকার। সম্প্রতি অবশ্য আফ্রিকায় খারাপ করেছি আমরা, সেই ধরণের পারফর্মেন্স আমরা চাইনা।
এজন্যই আগামীদিনের সিরিজ খেলতে হলে ক্রিকেটারদের এবং ম্যানেজমেন্টের একসাথে বসা জরুরী। যেন আমরা আরও বেশি করে লম্বা সময়ের জন্য পরিকল্পনা করতে পারি।"
উল্লেখ্য, আগামী কয়েক বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের পরই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা। সমানতালে ওয়ানডে বা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলতেও দেখা যাবে তাদের।