মেলবোর্ন টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: অস্ট্রেলিয়া দলের উল্লাস, গেটি ইমেজ

৯ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ২৩৪ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ৪১ রান করা নাথান লায়নকে বোল্ড করে অজিদের ইনিংসের ইতি টানেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪০ রানের। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ দেখেশুনে করেন ভারতের দুই ওপেনার জায়সাওয়াল ও রোহিত শর্মা। প্রথম ঘণ্টায় তাদের সাবধানী ব্যাটিংয়ে উইকেট হারায়নি ভারত। বেশির ভাগ বলই ব্যাটের মাঝে খেলার চেষ্টা করেছেন এই দুজন।
ভারতের কারণে সেমি ফাইনালের আগে বিড়ম্বনায় অস্ট্রেলিয়া-সাউথ আফ্রিকা
৮ ঘন্টা আগে
স্টাম্পের বাইরের বলগুলো দেখেশুনে লিভ করেছেন। প্রথম ঘণ্টায় ভারতের রান ছিল ১৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২২। তবে শুরুটা সাবধানে করলেও খারাপ শট খেলে উইকেট দিয়ে আসেন রোহিত। প্যাট কামিন্সের বল মিড অনে খেলার চেষ্টা করেন ভারতের অধিনায়ক। বল ব্যাটের কানায় লেগে গালি অঞ্চলে মিচেল মার্শের মুঠোয় যায়। দু’বারের চেষ্টায় ৪০ বলে ৯ রান করা রোহিতের ক্যাচ ধরেন মার্শ।
সেই ওভারে ভারতকে আবারও চেপে ধরেন কামিন্স। রোহিতের পর লোকেশ রাহুলকেও আউট করেন তিনি। শূন্য রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ব্যাটার। ২৫ রানেই দুটি উইকেট হারায় ভারত। তারপর জায়সাওয়ালকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কোহলি। কিন্তু বেশীক্ষণ পারেননি তিনি। শুরুতে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়লেও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে মিচেল স্টার্কের একটি বাইরের বলে সেই পুরানো ভুলটিই করেন কোহলি। ব্যক্তিগত ৫ রানের সময় খোঁচা মেরে স্লিপে উসমান খাওয়াজাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

ফলে ৩৩ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত। রোহিত, কোহলিরা রান না পেলেও আস্থার সঙ্গে ভারতকে এগিয়ে নেন জায়সাওয়াল। তাকে সঙ্গ দেন পান্ত। ১২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান পান্ত। এই দুজনের ব্যাটে সাময়িক সময়ের জন্য লড়াইয়ে ছিল ভারত। দ্বিতীয় সেশনে উইকেট হারায়নি ভারত। ১০৩ বল ধরে ধৈর্য দেখালেও ট্রাভিস হেড বোলিংয়ে আসলে ভুল করে বসেন পান্ত। হেডের বলে বড় শট মারতে গেলে লং অনে ধরা পড়েন তিনি। বাউন্ডারিতে দারুণ একটি ক্যাচ নেন মার্শ। ১০৪ বলে ৩০ রান আসে পান্তের ব্যাটে। ১২১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত।
পান্তের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে চান না রাহুল
১৪ ঘন্টা আগে
এরপর স্কট বোলান্ডের বলে দুই রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে রবীন্দ্র জাদেজা আউট হলে চাপ বাড়ে ভারতের। এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি দলটি। প্রথম ইনিংসে শতরান করা নিতিশ কুমার রেড্ডিও এক রানে ফিরে যান। নাথান লায়নের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর কামিন্সের বলে ৮৪ রানের মাথায় আউট হন জায়সাওয়াল। তার আউটকে ঘিরে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। মাঠের আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউতে খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, বল জায়সাওয়ালের গ্লাভসে লেগেছে। কিন্তু স্নিকোমিটারে কিছুই ধরা পড়েনি। তারপরেও তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত খালি চোখের ভরসায় আউট দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না জায়সাওয়াল। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে ১৫৫ রানে থামে ভারতের ইনিংস। আকাশ দিপ এবং বুমরাহকে ফেরান স্কট বোল্যান্ড, মোহাম্মদ সিরাজকে ফেরান লায়ন।