কানপুর শুধু ব্যাটারদের জন্য নয়, মনে করিয়ে দিলেন আকাশ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্টেডিয়ামের আশেপাশের গাছগাছালি খানিকটা সুখ্যাতি রেখেছে কানপুরের গ্রিনপার্কের। তবে বাইশগজে নেই সবুজের ছোঁয়া। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কিংবা ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিপক্ষে কালো মাটির উইকেটে খেলতে পারে। কালো মাটির উইকেটের কথা শুনতেই আপনার চোখে মিরপুরের ছবি ভেসে ওঠার কথা।
যদিও কানপুরের সঙ্গে মিরপুরের বড়সড় একটা পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশের মিরপুরে স্পিনারদের দাপটে নাভিশ্বাস উঠে ব্যাটারদের। কানপুরে অবশ্য টেস্টের প্রথম দুদিনের রাজত্ব করেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। প্রথম দুদিন ব্যাটারদের বাকি তিনদিন ছড়ি ঘুরাবেন স্পিনাররা। গ্রিনপার্কের উইকেট নিয়ে আপাতত সবার পর্যবেক্ষণ এমনই। যদিও আকাশ দীপ দিলেন একটু ভিন্ন তথ্য।

ভারতের পেসারের দাবি, কানপুরের উইকেট কেবলই ব্যাটারদের জন্য। এখন পর্যন্ত দেখা উইকেট আকাশের কাছে মনে হয়েছে স্পোর্টিং। এমন উইকেটে অবশ্য সবার জন্যই আলাদা আলাদা সুবিধা থাকে। তবে পরিসংখ্যানে পেসারদের চেয়ে ঢের এগিয়ে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। গ্রিন পার্কে দুটি করে টেস্ট খেলা অশ্বিন ১৬ এবং ১১টি উইকেট নিয়েছেন। তবে উইকেটে সুবিধা না থাকলেও উইকেটে পাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে চান আকাশ।
এ প্রসঙ্গে ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘আমি যা দেখেছি, এটাকে স্পোর্টিং উইকেট মনে হয়েছে, শুধু ব্যাটার উইকেট নয়। উইকেট যেমনই হোক না কেন, আমি যদি খেলি, আমার কাজ হবে ভালো জায়গায় বোলিং করে যাওয়া। যদি উইকেট পেসারদের জন্য সহায়ক নাও হয়, আমাকে উইকেট পাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে জসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গী ছিলেন আকাশ। যদিও খুব বেশি ওভার বোলিং করার সুযোগ মেলেনি তার। প্রথম ইনিংসে ৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন জাকির হাসান ও মুমিনুল হকের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভারে ২০ রান দিয়ে অবশ্য কোন উইকেটের দেখা পাননি। তবে সেখানে এক ওভার বোলিং করার পরই পেসারদের সুযোগ দেখেছিলেন তিনি।
আকাশ বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছিলাম, আর আমি রাউন্ড দ্য উইকেটে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকি। উইকেটে পেসারদের জন্য কিছু ছিল, আমি মাত্র এক ওভার করেছিলাম, উইকেট যখন পেলাম সেটা দ্বিতীয় ওভার ছিল। সে সময় থেকেই মনে হচ্ছিল যে সুযোগ তৈরি হচ্ছে, সুইংও পাচ্ছিলাম। আমি একদম সব সহজ রাখতে চেয়েছিলাম, এমন নয় যে আমার মাথায় এটা ছিল যে এসেই উইকেট নিতে হবে। আমার নিজের পরিকল্পনার ওপর অগাধ বিশ্বাস ছিল।’