‘মরকেলকে পাত্তা দিতেন না আফ্রিদি-নাসিমরা’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মরনে মরকেলের অধীনে আগুনে বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ, আকাশ দীপ এবং মোহাম্মদ সিরাজরা। অথচ সাউথ আফ্রিকান পেস বোলিং কোচের অধীনে নির্বিষ বোলিং করেছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফরা। এমন সমস্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বাসিত আলী জানিয়েছেন, মরকেলকে পাত্তা দিতেন না পাকিস্তানের বোলাররা।
২০২৩ সালের জুনে পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মরকেল। চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের পেসারদের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তবে ভারত বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই ৬ মাসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চাকরি ছাড়েন সাবেক এই প্রোটিয়া পেসার। মরকেলের অধীনে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি শাহীন আফ্রিদি, রউফরা।

সেই বিশ্বকাপে শাহীন আফ্রিদি ১৮ এবং রউফ ১৪ উইকেট নিলেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশনে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেনি। অনেকটা পেসারদের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েই পাকিস্তানের চাকরি ছেড়েছিলেন মরকেল। অথচ তার অধীনে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসে ইয়াশ ঠাকুররা বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন। গৌতম গম্ভীর ভারতের প্রধান কোচ হতেই মরকেলকে নিজের কোচিং স্টাফে যুক্ত করেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ভারতের পেস বোলিং কোচ হিসেবে পুরোদমে কাজ করছেন মরকেলে। প্রোটিয়া পেসারের অধীনে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বুমরাহ, আকাশরা। তিন পেসার মিলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মনোভাবের পার্থক্য বোঝাতে মরকেলের বিষয়টি টেনে এনেছেন বাসিত।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন, মরকেলকে কিছুই মনে করতেন না আফ্রিদিরা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ ও ভারতের চেন্নাই টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাসিত বলেন, ‘পাকিস্তানি বোলাররা নিজেদের ক্রিকেটের চেয়েও বড় মনে করে। তারা মনে করেছিল, আমাদের সামনে মরকেল কিছুই নয়।’
কদিন আগেই পাকিস্তান সফরে গিয়ে দুই টেস্টের সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করলেও ভারতে গিয়ে পাত্তা পাননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। পাকিস্তানে পারলেও ভারতে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা কিছুই করতে পারেননি। তাতেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মনোভাব ও চিন্তার পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন বাসিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা পার্থক্যটা জানি। (ভারতের বিপক্ষে খেলা) একই বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে, তখন এমন মনে হয়েছে যে পাকিস্তান দল সব দিক থেকে পিছিয়ে আছে। এটা সেই বাংলাদেশ, যারা পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে। পার্থক্যটা আসলে মনোভাব, চিন্তা আর মানে।’