পাকিস্তান দলে আজমই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত, দাবি মঈনের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আক্রমণাত্মক কোনো ইনিংস বা ফিটনেসের কারণে সারা বছরই আলোচনায় থাকেন আজম খান। বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের আশে পাশে থাকলেও খুব একটা সুযোগ পান না। তবে তার বাবা মঈন খানের দাবি তার ছেলেরই পাকিস্তান দলের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক ব্যাটার হওয়া উচিত।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে ছিলেন আজম। তবে খেলতে পেরেছিলেন মোটে একটি ম্যাচ। মঈন মনে করেন তার ছেলেকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট এত দ্রুত আস্থা হারালে ভালো ক্রিকেটার তৈরি করা যাবে না বলেও মনে করেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

নিজের ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকাপ এবং এর আগে হওয়া ম্যাচগুলি দেখেছি। দেখে মনে হয়েছিল আজমই উইকেটকিপিং এবং ব্যাটিংয়ের জন্য এক নম্বর পছন্দ। তারপর হঠাৎ করে মাত্র একটি ম্যাচের পরে পুরো কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছিল। এক ম্যাচের পর উইকেটকিপিং করার সুযোগ দেওয়া হয়নি তাকে। প্রথম বলেই আউট হওয়ার পর বাদ পড়েন। অধিনায়ক বা ম্যানেজমেন্ট, যদি খেলোয়াড়দের এত দ্রুত পরিবর্তন করে তাহলে আমরা কীভাবে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি?’
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে ছিলেন না আজম। তবে মঈনের দাবি তার ছেলেকে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছিল বিশ্বকাপ দলে। তবে তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার নির্দেশেই তাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
সেই বিশ্বকাপের কথা টেনে মঈন বলেছেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপে, আজমকেও দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু রমিজ রাজা তাকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সময়, প্রধান নির্বাচক যদি ভুল নির্বাচন করে থাকেন তবে তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তাদের সাহস ছিল না। ফলস্বরূপ, তারা একজন তরুণ খেলোয়াড়কে হতাশ করেছিল।’
আজমের ফিটনেস নিয়ে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিলেও মঈন জানিয়েছেন তার ছেলে উন্নতি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এমনকি ছেলেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তার ভাষ্য, ‘আমি বলছি না, সমস্ত দোষ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের উপর বর্তায়; আজমেরও নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে। তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে। অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করতে হবে। আমি লক্ষ্য করেছি সে তার ফিটনেস উন্নত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।’