বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পের সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ দিলেন মুশফিক

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্টে ধরাশয়ী হওয়ার পর প্রস্তুতির ঘাটতির দিকে আঙুল তুলেছিলেন মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাংলাদেশের পরের টেস্ট ছিল আগষ্টে, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। মাঝে সাড়ে চার মাসের বিরতি ভাবিয়ে তুলছিল শুধুমাত্র টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যত ক্যাম্প অথবা পরিকল্পনা করা তার সামান্যও করা হয় না টেস্ট নিয়ে।
এমনকি অবসর সময়ে নিজেদের ভুল শুধরানো কিংবা প্রস্তুতির জন্যও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে। এমন অভিযোগ ছিল অনেক আগে থেকেই। ৮ টেস্টের মৌসুমের শুরুর আগে অবশ্য একেবারে ভিন্ন পথে হেঁটেছে বিসিবি। জাতীয় দল যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলায় ব্যস্ত তখন নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে ক্যাম্প আয়োজন করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান, ভারত, সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যাতে টেস্টে ভালো করা সম্ভব হয় সেটার কথা মাথায় রেখে মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে বানানো হয় বাংলাদেশ টাইগার্সের দল। তাদের ছাড়াও তরুণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারও সুযোগ পেয়েছিলেন সেখানে।

ঢাকা, সিলেট হয়ে চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প। মাঝে নিজেদের মাঝে ম্যাচও খেলেছেন ক্রিকেটাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টে জয়ের পর বাংলাদেশ টাইগার্সের স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ দিয়েছেন মুশফিক। স্থানীয়দের দারুণ সহায়তার কথাও সামনে এনেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘নিজের কিছু ভাবনার কথা বলতে চাই। এ সিরিজের আগে প্রায় আড়াই মাসের একটা বিরতি ছিল। আমরা বাংলা টাইগার্সের হয়ে বিশেষ একটা ক্যাম্প করেছি দেশে। স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফের দারুণ সহায়তা পেয়েছি। এটি আমাদের সহায়তা করেছে, বিশেষ করে টেস্ট খেলোয়াড়দের। কারণ সীমিত ওভারে যারা খেলে, তারা বিশ্বকাপে ব্যস্ত ছিল। দেশেও এমন আবহাওয়াই ছিল।’
‘ওই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মানসিক কাঠিন্য এসেছে। আমি ওই ক্যাম্পের সব সাপোর্ট স্টাফকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কৃতিত্ব আসলে সবাইকে দিতে হবে, যেভাবে তারা সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে। পাকিস্তানে এবং এর আগে দেশেও। আমি খুশি। তাদের থেকেও সব রকমের সহায়তা পেয়েছি।’
বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পের পর ‘এ’ দলের হয়ে ইসলামাবাদে খেলেছেন মুশফিক। তবে পাকিস্তান শাহীনসের সঙ্গে রানের দেখা পাননি তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে অবশ্য ব্যাটিং ইউনিটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে করেছেন ১৯১ রান। বিদেশের মাটিতে নিজেদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি দেখাতে পেরে বেশ খুশি তিনি।
ম্যাচসেরা হয়ে মুশফিক বলেন, ‘প্রথমেই আলহামদুলিল্লাহ, সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ধন্যবাদ। অবশ্যই এটি আমার সবচেয়ে ভালো ইনিংসগুলোর একটি। যেমনটি বললেন, বিদেশে তেমন ভালো করিনি। ফলে এটি আমাদের একটি লক্ষ্য ছিল দল হিসেবে, যাতে পারফর্ম করতে পারি, যাতে সবাই দেখে যে আমরা বিদেশে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করছি।’