সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দশবার সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা দশমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতল সাউথ আফ্রিকা। পোর্ট অব স্পেনে দারুণ নৈপুণ্যে ড্র করতে পারলেও গায়ানা টেস্টে ক্যারিবিয়ানরা হেরেছে ৪০ রানে। ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল প্রোটিয়ারা।
সর্বশেষ ১৯৯২ সালের এপ্রিলে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাউথ আফ্রিকা সফরে গিয়ে ওই সিরিজে কেবল একটি ম্যাচই খেলে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর থেকে দুই দল ১০টি সিরিজ খেললেও আর জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গায়ানার প্রভিডেন্সে ম্যাচটি শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনই! ক্যারিবিয়ানদের জয়ের জন্য লাগত ২৬৩ রান। কিন্তু কাগিসো রাবাদা আর কেশব মহারাজের অসাধারণ বোলিংয়ে ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।

ক্যরিবিয়ান শিবিরে এ দিন প্রথম আঘাত হানেন রাবাদা। ওপেনার মাইকেল লুইসকে মাত্র ৪ রানে বিদায় করেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ৫৪ রানের মাথায় উইয়ান মুল্ডারের লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পা দেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
৫৫ বলে ২৫ রান করে ক্যারিবিয়ান দলপতি ফিরে গেলে চাপে পড়ে দলটি। চাপ সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন কেসি কার্টি (৪৭ বলে ১৭) ও কাভেম হজ (৩৮ বলে ২৯)। আগের ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করা অ্যালিক অ্যাথানেজ করেন ৪৫ বলে ১৫ রান।
১০৪ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে তখন পরাজয়ের প্রহর গুনছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সপ্তম উইকেটে গুড়াকেশ মোতি এবং জসুয়া ডি সিলভার জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল দলটি। এই জুটিতে ৭৭ রান উঠলে জয় থেকে বেশ দূরে সরে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
৫৯ বলে ৪৫ রান করে মহারাজের বলে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন মোতি। ওদিকে ২৭ রানে থামে ডি সিলভার ইনিংস। এই ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন মহারাজ ও রাবাদা। পুরো সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও হন মহারাজ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে অলআউট হওয়া সাউথ আফ্রিকা গতকাল তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৪৬ রানে। দলটি তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাঁচ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে।
১০.৪ ওভারে আর মাত্র ২৩ রান তুলতেই অলআউট হয় তারা। ৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা কাইল ভেরেইনা ৫৯ এবং ৩৪ রানে থাকা তার সঙ্গী মুল্ডার আর কোনও রান না করেই ফিরে যান।
উইকেটরক্ষক ভেরেইনার স্টাম্প উড়িয়ে ইনিংসে পঞ্চম উইকেট পান জেইডেন সিলস। পরে নান্দ্রে বার্গারকেও ফিরতি ক্যাচে ফেরান তিনি। ৬১ রানে ৬ উইকেট নেয়া সিলসের এটাই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।