|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এমপি হওয়ার মাস ছয়েক পরই অবশ্য দায়িত্ব হারাতে হয়েছে তাকে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। যার ফলে এখন থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্বে থাকছেন না সাকিব।

বাংলাদেশে যখন এমন অবস্থা তখন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ না করায় সেই সময় ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সাকিবকে। এমনকি কানাডায় খেলার সময়ও প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

এদিকে সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে নেই আওয়ামী লীগের কেউ। এমন অবস্থায় ১৩ আগষ্ট দেশে ফেরার কথা কথা ছিল সাকিবের। তবে তিনি দেশে ফিরবেন কিনা তা একদমই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিদ্ধান্ত। মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘যদি সে দলে থাকে বা সে খেলার অবস্থায় আছে কিনা এই দুইটা ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্ব।’

‘এরপর তার বাংলাদেশে এসে আসতে হবে কিনা বা উনি সরাসরি যাবেন কিনা এটা বোর্ডের উপর নির্ভর করবে। বোর্ড যেহেতু এখনও ভেঙে দেয়া হয়নি, চলমান আছে এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমি অপারেশনের ইনচার্জ হিসেবে বোর্ড আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেব সেভাবে আয়োজন করব।’

কদিন আগে ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কানাডা থেকে দুবাই হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুবাই হয়ে পাকিস্তানের পথেই হাঁটতে পারেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। যদিও এসবে না গিয়ে আপাতত নির্বাচক প্যানেল ও বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন নাফিস।

সাকিব দলে থাকলে একরকম আর দলে না থাকলে অন্যরকম বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের ইনচার্জ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান এখন আর সংসদ সদস্য নন। তিনি একজন ক্রিকেটারই রয়েছেন। তবে প্রত্যেক মানুষেরই নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। ’

‘১২ আগস্ট পর্যন্ত তার এনওসি (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খেলার) রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার কথা। বিসিবির নির্বাচক কমিটি এখন পর্যন্ত দল (পাকিস্তান সফরের) ঘোষণা করেনি। দল ঘোষণার পর সে যদি দলে থাকে, তখন একরকম। আর যদি দলে না থাকে তখন তো তার এনওসির কোনো বিষয় আসছে না।’