সেঞ্চুরি করে হাসপাতালে সিফাত, ১৮৭ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন দল

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পেসার পরিচয়ে খেললেও এদিন ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন সিফাত শাহরিয়ার সামি। আটে নেমে খেলেছেন ১১৫ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস। সিফাতের এমন ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২৬৮ রানের পুঁজি পায় বাসাবো। ব্যাট হাতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেও বোলিং করতে পারেননি তিনি।
পঞ্চম বোলার হিসেবে বোলিং করতে এসে নিজের ওভার শেষ হওয়ার আগে ‘হিট স্ট্রোকে’ মাটিতে পড়ে যান সিফাত। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরেছে। এদিকে মিরপুরে বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৯৯ রানে গুটিয়ে যায় সরকারি কে.জি ইউনিয়ন স্কুল। ১৮৭ রানের জয়ে স্কুল ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাসাবো। সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সিফাত। তবে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে থাকায় নিজের হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে পারেননি তিনি।

এমনকি চ্যাম্পিয়ন বাসাবোর উদযাপনেও ছিলেন সিফাত। দলটির প্রধান কোচ মুস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার নিশ্চিত করেছেন আপাতত সুস্থ আছেন সিফাত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। চোখ খুলছিল না। এখন অবশ্য চোখ খুলেছে। এখনো হাসপাতালে আছে। সেখানে আমাদের কয়েকজন শিক্ষক ও সিফাতের বাবা-মা আছেন। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাসাবো। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কারিমুল ইসলামের উইকেট হারায় তারা। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন কাজী রায়হান ও রাজানুল হাসান হৃদয়। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি নূর আহমেদ সিয়াম রাতুল। এরপর ধস নামে বাসাবোর ব্যাটিং শিবিরে। সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক হৃদয়, নাফিস হাসান ও মোহাম্মদ হোসেন। একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার রাজানুল হৃদয় সাজঘরে ফিরেছেন ২৩ রানে।
এরপর ১৭৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন নাশিত মুশতাকিম ও সিফাত শাহরিয়ার। ৩০ রানের ইনিংস খেলা নাশিত ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এদিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন সিফাত। শেষ দিকে মাত্র ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আলিফ মাহমুদ। দেড়শ করার আগে ১৪৮ রানে ফিরেছেন সিফাত। তার ব্যাটিংয়েই মূলত ২৬৮ রানের পুঁজি পায় তারা। কে.জি ইউনিয়নের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফায়েজউল্লাহ, নূর আহমেদ এবং অংশু বসু।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সরকারি কে.জি ইউনিয়ন হাই স্কুল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক অনিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে আব্দুল্লাহর ব্যাট থেকে। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি ৮ ব্যাটার। বাসাবোর হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হোসেন। এ ছাড়া রাজানুল হৃদয় দুটি এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন শিপন হোসেন, কারিমুল ও নাশিত।