শশাঙ্ককেও কৃতিত্ব দিলেন বেয়ারস্টো

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন জনি বেয়ারস্টো ও শশাঙ্ক সিং। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে কলকাতার দেয়া ২৬১ রানের লক্ষ্য ৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাঞ্জাব কিংস।
এবারের আইপিএলের শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না বেয়ারস্টো। তবে কলকাতার বিপক্ষে ৪৮ বলেই খেলেছেন ১০৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শশাঙ্ক। পাঞ্জাবের এই ব্যাটার খেলেছেন ২৮ বলে অপরাজিত ৬৮ ইনিংস। এই ম্যাচে দুজনের বোঝাপড়াটাও ছিল দারুণ। এই ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তারা।

ম্যাচ শেষে শশাঙ্ককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বেয়ারস্টো। তাকে বিশেষ ক্রিকেটারের তকমা দিয়েছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। মাঠে বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেও তাকে ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড় মনে করেন বেয়ারস্টো। তাই নিজে ম্যাচ সেরা হলেও সতীর্থকে কৃতিত্ব থেকে বঞ্চিত করেননি বেয়ারস্টো।
তিনি বলেন, ‘সে একজন বিশেষ খেলোয়াড়। তর মতো খেলোয়াড় দলে পাওয়াটাই বড় ব্যাপার। সে যেভাবে মাঠে এসে খেলেছে, তা ছিল অবিশ্বাস্য ছিল। ক্রিকেট নিয়েও তার বোঝাপড়া অসাধারণ। সে একজন ভালো এবং শান্ত স্বভাবের খেলোয়াড়। কলকাতার বিপক্ষে পঞ্জাব কিংসের সফল রান তাড়ায় সে যেভাবে ব্যাট করেছে, সে জন্য তার পুরো কৃতিত্ব পাওয়া উচিত।’
এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুনীল নারিন ও ফিল সল্ট মিলে কলকাতাকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন। নারিন মাত্র ৩২ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বেয়ারস্টো জানিয়েছেন নারিনের এমন ইনিংসই তাদের ম্যাচের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। নারিনের দেখানো পথেই পাওয়ার প্লেতে তারা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন।
এই বিষয়ে খোলাসা করে বেয়ারস্টো বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করতে চেয়েছিলাম এবং সেটাই মুখ্য ছিল। সুনীলকে ধন্যবাদ। তারা দারুণ শুরু পেয়েছিল, তাই আমরা জানতাম যে পাওয়ারপ্লেতে আমাদের আক্রমণের পথে হাঁটতে হবে। আপনাকে যখন দু'শোর বেশি তাড়া করতে হয়, তখন পাওয়ারপ্লেতে ঝুঁকি নিতেই হবে। বড় রান তাড়া করতে হলে যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক হতে হবে। তবে আমরা যতটা সম্ভব কম উইকেট হারাতে চেয়েছিলাম।’