বিজয়ের সেঞ্চুরি, জিতেই চলেছে আবাহনী

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পেলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। সিরিজ শেষে ডিপিএলে যোগ দিয়েও রানের দেখা পাচ্ছিলেন না আবাহনী লিমিটেডের এই ওপেনার। সবশেষ দুই মৌসুমে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া বিজয় অবশেষে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে বিজয় খেলেছৈন অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস। ডানহাতি এই ওপেনারের সঙ্গে জাকের আলী অনিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে আবাহনী। সাত রাউন্ডের সবকটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে গাজী ক্রিকেটার্সকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। দলটিকে দারুণ সূচনাই এনে দেন দুই ওপেনার মেহেদি মারুফ ও আনিসুল ইসলাম। মাত্র ৬.২ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেন তারা দুজন। দ্রুত রান তোলা এই জুটি ভেঙেছেন তানজিম হাসান সাকিব। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে জাকের আলীকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ রান করা আনিসুল।
তিনে নেমে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির হোসেন শিকদার। মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। তানভির ইসলামের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে রান নিতে গিয়ে তানজিম সাকিবের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন সাব্বিরকে। এরপর উইকেটে আসেন আল আমিন জুনিয়র। কিন্তু তাসকিন আহমেদের শর্ট ডেলিভারি প্রত্যাশির বাউন্ড না পেলে সেটা আল আমিনের মাথায় আঘাত করে।

ফলে রিটায়ার্ট হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্যাটারকে। এরপর শেখ পারভেজ জীবনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন
মেহেদী মারুফ। রাকিবুল হাসানের বলে লং অনে চার মেরে ৫৯ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে থাকা জীবন শিকার হয়েছেন সাইফউদ্দিনের। ১৯ বলে ৯ রান করে ফেরেন তিনি। একই স্পেলে ৬০ রান করা
মারুফকেও ফেরান সাইফউদ্দিন।
এই পেসারের দারুণ ইয়র্কারে কাবু হয়ে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়েছেন মারুফ। এরপর হাবিবুর রহমানের ৪১ ও মাহফুজুর রাব্বির ২৬ রান ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। ফলে ২০৪ রানের পুঁজি পায় গাজী ক্রিকেটার্স। আবাহনীর হয়ে এদিন দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, সাইফউদ্দিন, তানভির ও সাকিব। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিজয় ও নাইম শেখ উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান তোলে আবাহনী। তাদের এই জুটি ভাঙেন মইন খান। এই স্পিনারের বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা জীবনের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন নাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। এ সময় জাকেরকে নিয়ে ৬১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। তাদের জুটিতেই দেড়শ পার করে দলটি।
এরপর ৬৩ বলে জাকেরও নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তাদের ব্যাটে করেই জয়ে পথ সহজ হয় আবাহনীর। কিন্তু তাদের ১২২ রানের জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গেলে উইকেটের পেছনে গ্লাভস বন্দী হয়েছেন জাকের। ফলে ৫৮ রানেই থামতে হয় তাকে। এরপর উইকেটে আসেন সাকিব।
সাধারণত লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করলেও এদিন খানিকটা আগেই সুযোগ পেয়েছেন তানজিম সাকিব। যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ রানে। এদিকে সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ১১১ বলে চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়। সবশেষ ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সাইফউদ্দিন অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। গাজী ক্রিকেটার্সের হয়ে রুয়েল, মইন ও ওয়াসি সিদ্দিক একটি করে উইকেট তুলে নেন।