আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি, হারের পর নাহিদা

ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পঞ্চাশের রানে আগে অ্যালিসা হিলি, ফোবি লিচফিল্ড, এলিস পেরি এবং তাহলিয়া ম্যাকগ্রাকে বিদায় করার পরও আটকানো যায়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ক্যাচ মিসের সঙ্গে বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং অ্যালানা কিংয়ের ব্যাটে দুইশ পেরোয় সফরকারীরা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারজানা হক এবং মুর্শিদা খাতুনদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ থেমেছে মাত্র ৯৫ রানে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম দেখাতে তাই জ্যোতির দলকে হারতে হয়েছে ১১৮ রানে। এমন হারের পর স্পিনার নাহিদা আক্তার জানিয়েছেন, তার এর চেয়ে ভালো করতে পারেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাহিদা বলেন, ‘(দুই দলের) পার্থক্য যদি বলি, বোলিং একটু খারাপ হয়েছে। আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি। আর ব্যাটিংয়ে ২-৩টা রানআউট হওয়াতে পিছিয়ে গিয়েছিলাম।’

৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও ধসে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। বরং অ্যাশলে গার্ডনার এবং সাদারল্যান্ড মিলে সামাল দিয়েছেন সেটি। দুজনে মিলে গড়েছেন ৩৪ রানের জুটি। গার্ডনার ৩২ রানে ফিরে গেলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সাদারল্যান্ড। শেষ দিকে অ্যালানার সঙ্গে গড়েছেন ৬৭ রানের জুটি।
সাদারল্যান্ড নিজে অপরাজিত ৫৮ এবং অ্যালানা খেলেছেন অপরাজিত ৪৬ রানের ক্যামিও। তাদের দুজনের ব্যাটেই শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানের পুঁজি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নাহিদা মনে করেন, তাদের জুটি ভাঙা গেলে চিত্র আলাদা হতে পারতো। বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘মাঝে ওরা থিতু হয়ে গিয়েছিল, জুটি হয়ে গিয়েছিল। সেটা আগে ভাঙতে পারলে চিত্রটা আলাদা হতো।’
মিরপুরে এদিন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে বেশ বাজে করেছে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে তিনটা ক্যাচ ছেড়েছেন তারা। শুধু তাই নয় বাউন্ডারির আশেপাশে বাজে ফিল্ডিংয়ে রান খোয়াতে হয়েছে টাইগ্রেসদের। যদিও ক্যাচ মিসকে বড় করে দেখতে চান না তিনি। নাহিদা বলেন, ‘ক্যাচ তো মিস হতেই পারে। মিস হওয়ার পরও যাদের ক্যাচ পড়েছে, তারা বেশিক্ষণ খেলতে পারেনি।’
শুরুতে দারুণ বোলিং করলেও মাঝের দিকে বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন খানিকটা অগোছালো। যে কারণে অজিরা সহজে খেলতে পেরেছে বলে মনে করেন নাহিদা। শুধু তাই নয়, অভিজ্ঞতার কারণে সফরকারীরা পার পেয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
নাহিদা বলেন, ‘অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই আছে। ওই সময় বোলিং এলোমেলো করছিলাম। এ কারণে সহজে খেলতে পারছিল। অতি আত্মবিশ্বাসী হইনি। অবশ্যই তারা অভিজ্ঞ বলেই খেলতে পেরেছে।’