আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম বল ব্যাটে লাগেনি: সৌম্য

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউয়ে সেটি পরিবর্তন করেন টিভি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। স্পাইক দেখা যাওয়ার পরও নট আউট দেয়ায় টিভি আম্পায়ারকে নিয়ে বইছে সমালোচনার ভয়। ম্যাচ শেষে ম্যা রেফারির কাছে দ্বারস্থ হতে পারে শ্রীলঙ্কা, এমন বার্তা দিয়ে রেখেছে সফরকারীরা। তবে সৌম্য সরকার বলছেন তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বল ব্যাটে লাগেনি।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে। বিনুরা ফার্নান্দোর শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যাওয়ার পর আবেদন করেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা। বল ব্যাটের নিচের অংশে লেগেছে ভাবনায় আম্পায়ার গাজী সোহেল আউটও দিয়ে দেন। তবে তখনই রিভিউ নেন সৌম্য। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল যখন ব্যাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন আল্ট্রা-এজে স্পাইক ভেসে উঠে। যদিও আউট দেননি টিভি আম্পায়ার মুুকুল।

অনফিল্ড আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদল করতে বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ব্যাট ও বলের মাঝে গ্যাপ দেখেছেন তিনি। যে কারণে অনফিল্ড আম্পায়ারও নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন। তবে এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। যে কারণে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতকে ঘিরে ধরে সফরকারী ফিল্ডাররা। তাতেও শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি।
শ্রীলঙ্কানরা মানতে নারাজ হলেও সৌম্য জানিয়েছেন, তার ব্যাটেই লাগেনি বল। টি-স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে সৌম্য বলেন, ‘না আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমার ব্যাটে লাগেনি, বুঝতে পেরেছিলাম। যখনই আম্পায়ার আউট দিয়েছে আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি। কারণ আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমার লাগে নাই।’
‘হয়তবা কোনো একটা আওয়াজ আসছিল। হয়ত আমার চেইন বা হেলমেট থেকে। ব্যাটের সাথে গ্যাপ ছিল। আমি যখন চলে আসছিলাম, বড় পর্দায় দেখেছিলাম তো বুঝতে পারি নাই। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম দেখে লিটনের কাছে জিজ্ঞেস না করেই রিভিউ নেওয়া।’
এদিকে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বেজায় চটে শ্রীলঙ্কা। প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড সেই সময় চতুর্থ আম্পায়ারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এক্স একাউন্টে পোস্ট করে হতাশা প্রকাশ করেছেন দিমুথ করুনারত্নে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাভিদ নেওয়াজ নিশ্চিত করেন, ঘটনাটি নিয়ে তারা ম্যাচ রেফারির কাছে যেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাঠের আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত, টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চূড়ান্ত প্রমাণ থাকতে হয়। এটা স্পষ্ট, একটা স্পাইক ছিল। আমরা বড় পর্দায় তা দেখেছি। সেখানে কী ঘটেছিল তা বোঝার জন্য আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ রেফারির পর্যন্ত যেতে হতে পারে। পর্দায় যা দেখা গেছে, মন্তব্য করার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমি নিশ্চিত, টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলের পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকবে।’