জনসনের মন্তব্যে কিছু যায় আসে না ওয়ার্নারের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রংপুরের হয়ে খেলতে আসছেন রাসেল-ওয়ার্নারসহ ৫ বিদেশি
২৯ জানুয়ারি ২৫
রঙিন পোশাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ভরসার নাম ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও সাদা পোশাকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। টেস্ট দলেও তার জায়গাটা বেশ নড়বড়ে হয়ে গেছে। পড়তি ফর্মের কারণে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ওয়ার্নার।
ঘটা করে ওয়ার্নারের এমন অবসর আয়োজন নিয়ে চটেছেন সাবেক অজি পেসার মিচেল জনসন। অস্ট্রেলিয়ার কলঙ্কিত 'স্যান্ডপেপার গেট' কেলেঙ্কারির খলনায়কের এমন নায়কোচিত বিদায়ের পক্ষপাতী নন তিনি। তার মতে টেস্টে রান না পাওয়া একজন ব্যাটার কিভাবে নিজের ইচ্ছামতো বিদায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন। অবশ্য জনসনের এমন মন্তব্যের পর অনেক সতীর্থকে নিজের পাশে পেয়েছেন ওয়ার্নার।

অবশেষে ওয়ার্নার নিজে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। ফক্স ক্রিকেটকে তিনি বলেছেন, ‘এ রকম শিরোনাম না হলে কি আর গ্রীষ্ম হয় নাকি! ব্যাপারটি যা, তা-ই। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। সামনে এগোতে হলে, আমরা পশ্চিমে ভালো একটা টেস্টের জন্য মুখিয়ে আছি।’
ওয়ার্নারের চিন্তায় আপাতত সিডনি টেস্ট। সাদা পোশাকে নিজের শেষ ম্যাচকে রঙিন করতে সব রকমের চেষ্টাই করবেন তিনি। তাই সেই মন্তব্য দূরে রেখে আসন্ন ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। তার মতে বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছালে সকলকেই মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। তখন সমালোচনা আসবেই। কিন্ত তিনি শিখেছেন প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে।
ওয়ার্নার বলেন, ‘মা–বাবা এটি আমার মধ্যে শক্ত করে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তারা আমাকে প্রতিদিন লড়াই ও কঠোর পরিশ্রম করতে শিখিয়েছেন। আপনি যখন বিশ্বমঞ্চে যান এবং বুঝতে পারেন না যে এর সঙ্গে আরও কী থাকে অনেক সংবাদমাধ্যম, অনেক সমালোচনা কিন্তু অনেক ইতিবাচক দিকও।’
এতো সমালোচনার পরও মানুষজনের ভালোবাসা পেয়ে আপ্লূত ওয়ার্নার। তিনি মনে করেন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্নারের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়, বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনারা আজ এখানে যা দেখছেন, অনেক মানুষ ক্রিকেটের সমর্থনে এসেছেন।