ম্যাথিউসের আগে ‘টাইমড আউট’ হয়েছেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ
১৮ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ২৫তম ওভারের ঘটনা। সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হয়ে গেলে উইকেটে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে ব্যাটিং স্টান্স নেয়ার আগেই হেলমেটের ফিতা ছুটে যায়। এরপর ডাগ আউটের দিকে ইশারা করে নতুন হেলমেট আনতে বলেন তিনি। ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারও ম্যাথিউসকে আউটের কথা জানিয়ে দেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যাটসম্যানের আউট হয়ে যাওয়া বা মাঠ ছাড়ার পর অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে প্রথম বল মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
যদিও বিশ্বকাপে সেই সময় ২ মিনিটে নামিয়ে আনা হয়েছে। এ কারণেই মূলত ম্যাথিউসকে আউট দেয়া হয়েছে। এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এমন ঘটনার সাক্ষী হলো। এই আউট নিয়ে বিতর্ক থাকলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এমন আউটের নিদর্শন আছে আরও বেশ কিছু। ফিরে দেখা যাক সেইসব ঘটনাগুলো।

অ্যান্ড্রু জর্ডান: টাইমড আউটের প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে সাউথ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে। ম্যাচটি ছিল ইস্টার্ন প্রভিন্স ও ট্রান্সভালের মধ্যকার। সেদিন অ্যান্ড্রু জর্ডান শূন্য রানে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন। কিন্তু রাতে অতি ভারি বর্ষণের কারণে রাস্তা ডুবে গিয়েছিল। পরদিন ঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় তাকে টাইম আউট হতে হয়।
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
হেমুলাল যাদব: দ্বিতীয় ঘটনাটির সাক্ষী হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। ১৯৯৭ সালের কথা, কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা ও উড়িষ্যার মধ্যকার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ত্রিপুরা ৯ উইকেট হারানোর পর পানি পানের বিরতি দিয়েছিলেন আম্পায়ার। হেমুলাল যাদব অবশ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উইকেটে পৌঁছাতে পারেননি। তখনও তিনি দলের ম্যানেজারের গল্পে মশগুল ছিলেন। এর ফলে তাকে টাইমড আউট দেয়া হয়।
ভাসবার্ট ড্রেকস: ২০০২ সালে সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেট আরেকটি টাইমড আউটের ঘটনা দেখে। বর্ডার বনাম ফ্রি স্টেটের মধ্যকার ম্যাচে খেলার জন্য কলম্বো থেকে সাউথ আফ্রিকার বিমান ধরেছিলেন ভাসবার্ট ড্রেকস। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলে কলম্বো থেকে ফিরছিলেন। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ে সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছাতে পারেননি। ম্যাচ শুরু হয়ে গেলেও তিনি ছিলেন বিমানে। দেরি দেখে ড্রেকসের ব্যাটিং অর্ডারও পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও তিনি পৌঁছাতে না পারায় টাইমড আউট হতে হয় তাকে।
অ্যান্ড্রু হ্যারিস: ২০০৩ সালে কাউন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল নটিংহাম্পশায়ার ও ডারহাম। এই ম্যাচে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করার কথা ছিল অ্যান্ড্রু হ্যারিসের। তিনি গ্রোইন ইনজুরিতে ভুগছিলেন। তার ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হবে না ভেবে তৈরিও ছিলেন না। তবে নটিংহ্যাম্পশায়ারের ব্যাটিংয়ে হঠাৎ ধস নামলে তৈরি হতে হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে তাকে টাইমড আউট হতে হয়। দলটির শেষ ব্যাটার ক্রিস রিড ৯৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
রায়ান অস্টিন: সেন্ট ভিনসেন্টে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসের বিপক্ষে কলেজ বনাম উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৩-১৪ মৌসুমে। এই ম্যাচে আগে বোলিং করে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন রায়ান অস্টিন। তার ব্যাটিংয়ে নামার কথা ছিল ৫ নম্বরে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাঠে ঢুকতে পারেননি। দেরি দেখে তাকে টাইমড আউট ঘোষণা করা হয়।
চার্লস কুঞ্জে: ২০১৭ সালে বুলাওয়েতে মাউন্টেনার্স বনাম টাস্কার্সের ম্যাচে তিনি ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইমড আউট হন। যদিও তার আউট হওয়ার কারণ এখনও অজানা।