সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল সাউথ আফ্রিকা
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। যদিও এরপর টানা তিন হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দলটির। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই শুক্রবার প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হয়েছিল বাবর আজমের দল।
এই ম্যাচেও ভাগ্যের চাকা ঘুরল না পাকিস্তানের। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেটে হেরে উল্টো সেমিফাইনালের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে গেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে সাউথ আফ্রিকাকে।
মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৪ রান যোগ করেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। ডি কক আউট হয়েছেন ১৪ বলে ২৪ রান করে। এরপর বাভুমা ফিরে যান ২৭ বলে ২৮ রান করে। তৃতীয় উইকেটে প্রোটিয়াদের হাল ধরেন এইডেন মার্করাম ও ভ্যান ডার ডাসেন।

তারা যোগ করেন ৬৭ রান। ডাসেন আউট হয়েছেন ২১ রান করে। এরপর ক্লাসেন ১২ রান করে ফিরে গেলে কিছুতা চাপে পড়ে সাউথ আফ্রিকা। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের পথেই রাখেন মার্করাম। তিনি পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৭০ রান।
পিএসএলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইপিএলে খেলবেন বশ
৮ মার্চ ২৫
মিলার ৩৩ বলে ২৯ করে ফিরে যান। এরপর মার্কো জানসেন নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে করেন ১৪ বলে ২০। প্রোটিয়াদের জয়ের দ্বারপ্রান্তে রেখে মার্করাম আউট হয়েছেন ৯৩ বলে ৯১ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৭টি চারের মার। মার্করাম আউট হলে পাকিস্তান কিছুটা চেপে ধরেছিল প্রোটিয়াদের।
১০ রান করা কোয়েতজিকে আউট করে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল তারা। তবে পাকিস্তানকে সেই সুযোগ দেননি কেশভ মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিদি। এই দুজনে প্রোটিয়াদের জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
৬০ রান খরচা করলেও পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আর তাতেই পাকিস্তানকে ২৭০ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই স্পিনার। অবশ্য পাকিস্তানের দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন মার্কো জানসেন।
আব্দুল্লাহ শফিক ৯ ও ইমাম উল হক আউট হয়েছিলে ১২ রান করে। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিজের শিকার বানান জেরাল্ড কোয়েতজি। এই উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে পাকিস্তানের রান বাড়িয়েছেন বাবর।
যদিও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর তাকে ফিরিয়েই প্রথম উইকেটের স্বাদ পান শামসি। এরপর ২১ রান করা ইফতিখার আহমেদ ও ৫২ রান করা সাউদ শাকিলকেও আউট করেন এই স্পিনার। শেষদিকে শাদাব খান ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন।
মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ২৪ রান। শেষের দিকে বেশি কিছু করতে পারেননি শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও হারিস রউফ। ফলে পাকিস্তান অল আউট হয়ে যায় ৪৬.৪ ওভারের মধ্যেই।