আবারও লঙ্কান লায়ন্সের খাঁচায় বন্দি থ্রি লায়ন্স
.webp)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ায় ‘বাজবল’ ঝুঁকিপূর্ণ হবে, দাবি ওয়ার্নারের
১৫ মার্চ ২৫
চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে একেবারে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের প্রতিচ্ছবিটাও একই রকম।। এমন অবস্থায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, লাহিরু কুমারা, কাসুন রাজিথাদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও নিজেদের বাজে ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলাররা। লঙ্কানদের পেস আগুনে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাটলারের দল হেরেছে ৮ উইকেটে। এ নিয়ে সবশেষ পাঁচ বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার কাছে হারল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাতে করে আবারও লঙ্কান লায়ন্সের খাঁচায় বন্দি থ্রি লায়ন্স।
বেঙ্গালুরুতে জয়ের জন্য ১৫৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কুশল পেরেরার উইকেট হারায় তারা। ডেভিড উইলির গুড লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে মিড অফে থাকা বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রানে।

তিনে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। উইলিরর বলে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার বাটলারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ফিরেছেন ১১ রান করে। এরপর অবশ্য দারুণ জুটি গড়ে তোলেন পাথুম নিশানকা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। তারা দুজনে মিলে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তারা দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া নিশানকা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া সামারাবিক্রমা হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৪৪ বলে। চারে নামা এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। এদিকে তাদের দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে ১৩৭ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেটই নিয়েছেন উইলি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তাদের দুজনের ব্যাটে দ্রুতই রান আসছিল। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি ম্যাথিউস। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মালান। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় শ্রীলঙ্কা।
মালান এদিন আউট হয়েছেন ২৮ রান। তিনে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জো রুট। রান আউটে কাটা পড়তে হয়েছে তাকে। থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বেয়ারস্টো। রাজিথার বলে সাজঘরে ফিরেছেন ৩০ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার। টপ অর্ডারের ধসের পর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনরা। অধিনায়ক বাটলার মাত্র ৮ রান করেই লাহিরুর বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে ফেরেন।
যদিও চারে ব্যাটিং করতে নামা স্টোকস একপাশ আগলে রাখেন। তবে পাননি কোনও যোগ্য সঙ্গ। বাটলারের পর লিভিংস্টোনও ফেরেন মাত্র এক রান করে। ৮৫ রানেই ৫ উইকেটে হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য আরেক পাশে থাকা স্টোকস পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। এসময় মঈন আলীকে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১৫ রান করে ফেরেন মঈনও। শেষ দিকে স্টোকস ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরলে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অল আউট হয় ১৫৬ রানে। একাই তিন উইকেট নিয়েছেন লাহিরু।