ডাচদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেল অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না, আমি খেলা চালিয়ে যাব: কোহলি
৯ ঘন্টা আগে
মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্সদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করাটা নেদারল্যান্ডসের জন্য স্বপ্নের মতোই। যা কিনা বাস্তবে ঘটার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। পাহাড়সম রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৯০ রানে গুটিয়ে গেছে ডাচরা। ফলে নেদারল্যান্ডসকে ৩০৯ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে যা সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।
জয়ের জন্য ৪০০ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড এবং বিক্রমজিত সিং। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি মিচেল স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৬ রান করা ও’ডাউড। আরেক ওপেনার বিক্রমজিতও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিং করা বিক্রমজিত ২৫ রান করে ফিরেছেন গেছেন রান আউটে কাটা পড়ে।
তারা দুজন ফেরার পর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। একে একে বিদায় নিয়েছেন কলিন অ্যাকারম্যান, বাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লোগান ভ্যান বিকরা। শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস থেমেছে ৯০ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাডাম জাম্পা চারটি, মিচেল মার্শ নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য মন মতো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই শতাধিক রানের উদ্বোধনি জুটি গড়া দলটি এ দিন কেবল ২৮ রান তুলতে পেরেছে। লোগান ভ্যান বিকের বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৫ বলে ৯ রান করে ফিরে গেছেন মিচেল মার্শ।
কভার অঞ্চল থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটি লুফে নেন কলিন অ্যাকারম্যান। তারপর ১৩২ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ। এই জুটিতে দ্রুত রান তোলেন ওয়ার্নার এবং স্মিথ। এই জুটি ভাঙেন আরিয়ান ডাট।
তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্ট অঞ্চলে ভ্যান ডার মারওয়ে'র মুঠোয় ধরা পড়েন স্মিথ। ফেরার আগে ৬৮ বলে ৭১ রান তোলেন স্মিথ। এরপরেও সমানতালে রান তুলেছেন ওয়ার্নার এবং মারনাস ল্যাবুশেন।
যার কারণে ৩৬ ওভারের মধ্যে ২৪০ রান পেরিয়ে যায় অজিরা। হাফ সেঞ্চুরির পরই অবশ্য ফিরে যান ল্যাবুশেন। ৪৭ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাস ডি লিডের বলে মিড অনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আরিয়ানের মুঠোবন্দী হন ল্যাবুশেন।
দেখতে দেখতে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। ৯৩ বলে ১১টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১০৪ রান করেন ওপেনার। ভ্যান বিকের দ্বিতীয় শিকার হন ওয়ার্নার। এর আগে অবশ্য ১২ বলে ১৪ রান করা জস ইংলিসকে ফেরান ডি লিড।
শেষ ১২ ওভারে চার-ছক্কার ঝড়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই চারশ'র কাছাকাছি নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে প্রথম ২০ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪৪ বলে নয়টি চার ও আটটি ছক্কায় ১০৬ রান করেন তিনি। প্যাট কামিন্স ৯ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।