নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া ক??প শুরু পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে, ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যেতে পারে ৩ বার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ঘরের মাঠ মুলতানে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এক কথায় নেপালকে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে ২৩৮ রানের বিশাল জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। পাকিস্তানের দেয়া ৩৪৩ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি নেপাল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল এশিয়া কাপের নবাগত দলটি। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা প্রথম দুই বলে টানা দুই চার মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কুশাল ভুরতেল। যদিও ওভারের পঞ্চম বলেই নেপালের এই ব্যাটারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন আফ্রিদি।
পরের বলেই নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাওদেলকেও নিজের শিকার বানান আফ্রিদি। ওপেনার আসিফ শেখ এরপর ইনিংস টানতে পারেননি। তিনি হারিস রউফের শিকার হলে দলীয় ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নেপাল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি।
দুজনে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৫৯ রান। ৩৮ বলে ২৬ রান করা আরিফকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রউফ। একপ্রান্ত আগলে রাখা কামিকেও আউট করেছেন রউফ। আউট হওয়ার আগে নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ২৮ রানের ইনিংসটি আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে নেপালের ইনিংস থামে ১০৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন শাদাব খান। হারিস ও আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও নাসিম শাহ।
ইংরেজি বলতে না পারায় এক শতাংশও লজ্জিত নই: রিজওয়ান
৮ ঘন্টা আগে
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বপ্নের মতো শুরু পেয়েছিল পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকিয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফখর জামান। সোমপাল কামির করা লিংথ বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ইনিংস শুরু করেন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
এক বল পর স্কয়ার লেগ দিয়ে ফ্লিক করে আরেকটি চার মারেন ফখর। এমন দারুণ শুরুর পরও ফখরের ইনিংস বেশিদূর এগোতে দেননি কারান কেসি। ষষ্ঠ ওভারে তার করা তৃতীয় বলটি ফ্রন্টফুটে খেলতে গিয়ে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পাকিস্তানি ওপেনার।
ফখরের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৪ রানের ইনিংস। সঙ্গী হারানোর পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। তিনি সোমপালের করা পরের ওভারে ইমাম মিড অফে ঠেলে দিয়ে রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন পাওদেলের ডিরেক্ট থ্রোতে।
এরপর পাকিস্তানের ইনিংস টেনেছেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারা তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৮৬ রান। রিজওয়ানও রান আউট হয়ে কাঁটা পড়েছেন। আউট হওয়ার আগে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৪৪ রান। পাকিস্তানের বিশাল পুঁজি নিশ্চিত করেছে মূলত বাবর ও ইফতিখার আহমেদের চতুর্থ জুটি।
তারা দুজনে ২১৪ রান যোগ করেন চতুর্থ উইকেটে তাও আবার ১৩১ বলে। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। বাবর সেঞ্চুরি পেতে খেলেছেন ১০৯ বলে। ইনিংসের শেষ দিকে বাবর আউট হয়ে গেছেন ১৩১ বলে ১৫১ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১৪টি চারের মার। বাবর ফিরে গেলে আঘা সালমান থিতু হতে পারেননি।
তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। এরপর শাদাব খানকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ইফতিখার। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। ৪ টি ছক্কা ও ১১টি চারে এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। শাদাব শেষ পর্যন্ত ২ বলে ৪ রান করেন। নেপালের হয়ে ২টি উইকেট নেন সোমপাল। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কারান ও সন্দ্বীপ চামিচানে।