আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইংরেজি বলতে না পারায় এক শতাংশও লজ্জিত নই: রিজওয়ান
১২ এপ্রিল ২৫
সিরিজ আগেই জেতা শেষ, তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। আফগানিস্তানকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সেই ম্যাচটিও জিতে নিলো পাকিস্তান। আর এই জয়ে বাবর আজমের দল সিরিজ শেষ করেছে ৩-০ ব্যবধানে। একইসঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে টপকে গেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠল তারা।
এর আগে গত মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটিতে প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে যায় বাবররা। যদিও দু'দিন পরই তাদের দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়। এ দিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৬৮ রান তোলে পাকিস্তান।
ম্যাচের প্রথম ৩০ ওভারে অবশ্য কিছুটা রয়েসয়ে খেলে পাকিস্তান। যার কারণে স্কোরবোর্ডে অনেক বেশি রান তুলতে পারেনি তারা। মাত্র দুই উইকেট হারালেও শুরুর ৩০ ওভারে পাকিস্তান তোলে মাত্র ১০৩ রান। কিন্তু পরের ২০ ওভারে ১৬৫ রান তোলে তারা।

দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরিতে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। ফখর জামান ২৭ ও ইমাম উল হক ১৩ রানে ফিরলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১০ রান তোলে দলটি। ৮৬ বলে ৬০ রান আসে অধিনায়ক বাবরের ব্যাটে।
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
আর রিজওয়ান করেন ৭৯ বলে ৬৭ রান। শেষদিকে আঘা সালমান ৩১ বলে ৩৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ শেষদিকে করেন ২৫ বলে ৩০ রান। আফগানিস্তানের হয়ে এ দিন দুটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব এবং ফরিদ আহমেদ।
রান তাড়ায় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ২০৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায়।
আফগানিস্তান শুরুটা করেছিল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। তবে প্রেমাদাসার বোলিং-বান্ধব উইকেটে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
ফাহিম আশরাফ, শাদাব খানদ???র অসাধারণ বোলিংয়ে ৬১ রানে চতুর্থ আর ৯৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। এরপরও অবশ্য দুইশ পার হয় আফগানিস্তানের সংগ্রহ। মুজিব উর রহমানের ৩৭ বলে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার ইনিংসে করা ৬৪ রানের সুবাদে ম্যাচে খানিকটা হলেও টিকে থাকে আফগানরা।
মুজিব এর আগে কখনো ১৮ রানের বেশিই করতেই পারেননি। এ ছাড়া আফগানদের ইনিংসে ৩৭ রান আসে শহিদুল্লাহর ব্যাটে, ৩৪ রান করেন রিয়াজ হাসান। পাকিস্তানের হয়ে ৪২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন শাদাব। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম ও নাওয়াজ।