অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দেশে ফিরেই মিরপুরে তামিম
১২ এপ্রিল ২৫
অবসর ভেঙে ফেরার দিনে নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছিলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে তামিম ইকবালই বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে বোর্ড সভাপতির এমন কথা টিকল না খুব বেশিদিন। খেলার সিদ্ধান্তে বহাল থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেছেন তামিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন হঠাৎই সংবাদ সম্মেলনে ডেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে আবারও ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ঘোষণা দেয়ার পর তাকে দেড় মাসের ছুটিতে পাঠায় বিসিবি।

ছুটি কাটানোর সঙ্গে লম্বা সময় ধরে ভুগতে থাকা পিঠের চোটের চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। দুবাইয়ে ছুটি কাটিয়ে গত মাসের শেষ দিকে লন্ডনে যান তামিম। সেখানে সকল প্রকাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার তাকে জানায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে। ইনজেকশন নিয়ে খেলার সুযোগও ছিল তার হাতে।
বাংলাদেশে এমন গতিময় উইকেট আগে দেখেননি জিম্বাবুয়ের কোচ
৩৭ মিনিট আগে
তামিম অবশ্য সেই পথই বেছে নিয়ে কয়েকটা ইনজেকশন নিয়েছেন। ইনজেকশন নেয়া শেষে সোমবার দেশে ফেরেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) জালাল ইউনুস এবং পাপনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক শেষে অধিনায়ক ছাড়ার ঘোষণা দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তামিম বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আজকে আমার গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল জালাল ভাই এবং বোর্ড সভাপতি পাপন ভাইয়ের সাথে। আমরা অনেক কিছু আলোচনা করেছি আমার কি সমস্যা ছিল, কি হবে সামনে- সবকিছু নিয়ে।’
‘আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি নিজে থেকে উনাদের বলেছি, পদত্যাগ পত্রও দিয়েছি যে আজ থেকে আমি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার কাছে মনে হয় যে ইনজুরিও একটা ইস্যু। এই মুহূর্তে আমি ইনজেকশন দিয়ে এসেছি কিন্তু ইনজেকশনগুলাও কিন্তু হিট অ্যান্ড মিসের মতো।’
অধিনায়ক হিসেবে ৩৭ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। যেখানে ২১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। জয়ের হার ৫৬.৭৫। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত মাশরাফি বিন মুর্তজার চেয়ে মাত্র পয়েন্ট ৬ কম। বাংলাদেশকে ৮০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৫০ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন মাশরাফি।