ক্রিকেটে ফিরতে না পারার ভয়ে ছিলেন ওকস

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার
১৭ এপ্রিল ২৫
পেসারদের সঙ্গে চোটের বন্ধুত্বটা বেশ পুরনো। ক্রিকেটে চোট নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় পেসারদের। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ বলুন কিংবা ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস, সবাই যেন চোটের অলিখিত বন্ধু। চোট কাটিয়ে ফিরে সবশেষ অ্যাশেজে আলো ছড়িয়েছেন ওকস। অথচ সেই তিনিই কিনা বছরখানেক আগে ভয়ে ছিলেন ক্রিকেটে ফিরতে না পারার।
গত বছরের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে হাঁটুর চোটে পড়েছিলেন ওকস। একই বছরের জুলাইয়ে হাঁটু এবং ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি উইলিয়ামসের অধীনে অস্ত্রোপচার করেন ডানহাতি এই পেসার। তাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।

খেলছেন সবশেষ অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে চোট কখনই পিছু ছাড়েনি তার। অ্যাশেজের আগে পুরোপুরি সুস্থ না থাকায় প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। শেষ দিনে ম্যাচে খেলতে নেমে অবশ্য রীতিমতো আলো ছড়িয়েছেন ৩৪ বছর বয়সি এই পেসার। মাত্র ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ১৯ উইকেট।
২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে সিরিজে সমতা আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ওকস। অ্যাশেজে জিতেছেন ইংল্যান্ডের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও। অথচ সেই তিনিই কিনা বছরখানেক আগে ক্রিকেটে ফিরতে না পারার ভয়ে ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ওকস বলেন, ‘আমার হাঁটুতে যে ধরনের ব্যথা হচ্ছিলো তাতে আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে আমি আবারও ক্রিকেট খেলতে পারব কিনা। আমি যদি সেই সফরের শেষ পর্যন্ত থাকতাম তাহলে হয় আমি যা অর্জন করেছি তা নিয়ে এখানে থাকতে পারতাম না। হ্যাঁ, সেটা নিয়ে ভাবা আসলেই অবিশ্বাস্য।’
‘আপনি সর্বদা যা চান সবসময় আপনি তা পান না। অনেকগুলো কারণেই আমি ২০২৩ আইপিএলে যাওয়া প্রত্যাখান করেছি। এর একটা কারণ এই সিরিজে (অ্যাশেজ) অংশ হওয়ার ইচ্ছে। আমি কখনই ভাবিনি আমি এখানে থাকব।’
ওভালে টেস্টের শেষ দিনেই চার উইকেট নিয়েছেন ওকস। দুই স্পেলে যেখানে তিনি ফিরিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাওয়াজা, স্টিভ স্মিথ এবং মিচেল স্টার্ককে। ওকসের দারুণ বোলিংয়ে জয় পায় ইংলিশরা। অথচ তৃতীয় টেস্টে খেলতে নেমে খানিকটা শঙ্কিত ছিলেন ওকস। কারণ ১০ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট নিতে ৬১ রান খরচ করেছিলেন ডানহাতি এই পেসার।