ব্রডের বিদায় জয় দিয়ে রাঙাল ইংল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার
১৭ এপ্রিল ২৫
কয়েক ওভার আগেই টড মার্ফিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের পালে জোর হাওয়া দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জয় পেতে আর মাত্র একটি উইকেটের দূরত্বে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৯৫তম ওভারের চতুর্থ বলটি করতে ছুঁটলেন ব্রড। চোখে মুখে ১৬ বছর আগের মতোই সেই উইকেট নেয়ার ক্ষুধা। বলটি করলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট ছুঁয়ে বল সোজা চলে গেল জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। অল আউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। দুই হাত প্রসারিত করে ছুঁটলেন ব্রড। তার দিকে একে একে ছুঁটে এলেন অন্য সতীর্থরাও। এভাবেই নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পর্দাটা নামিয়ে দিলেন ব্রড।
৪৯ রানের জয়ে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করল ২-২ ব্যবধানে। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর এই সিরিজ সমতা ইংল্যান্ডের কাছে জয়ের মতোই তৃপ্তির। অবশ্য চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ অনেকটাই হেলে ছিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে। অ্যাশেজের শেষ টেস্টে জয়ের জন্য শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৪৯ রান। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১০ উইকেট।
আগের দিন বিনা উইকেটে ১৩৫ রান তুলে ৩৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে কাজটা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ইংলিশ বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র হলেও অ্যাশেজ শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখে দিচ্ছে অজিরা।

আগেরদিন ডেভিড ওয়ার্নার ৫৮ ও উসমান খাওয়াজা অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে। পঞ্চম দিনের সকালে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ওয়ার্নার। মাত্র ২ রান করেই তিনি ক্রিস ওকসের করা গুড লেন্থের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
খাওয়াজা সেই ওকসের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। তিন নম্বরে নেমে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্নাস ল্যাবুশেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৩ রান। ১৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে এরপর পথ দেখিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেড।
এই দুজনে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ৯৫ রান। ওকসের করা স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে স্মিথ ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা জ্যাক ক্রলিকে। আর তাতেই হেডের সঙ্গে তার জুটি ভাঙে। স্মিথ আউট হওয়ার পরের ওভারেই আউট হয়েছেন হেডও।
তাকে নিজের শিকার বানান স্পিনার মঈন আলী। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে বাধ্য করেছিলেন এই ইংলিশ স্পিনার। ব্যাটে বলে ঠিক মতো না হলে তা চলে যায় স্লিপে জো রুটের হাতে। মিচেল স্টার্ককে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি ওকস। মঈন আলী দুই অঙ্কে পৌঁছাতে দেননি অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকেও। মঈনের বলে ইনসাইড এজ হয়ে থাই প্যাড ছুঁয়ে লেগ স্লিপে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দেন কামিন্স।
মূলত তখনি পিছিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। টড মার্ফি ও অ্যালেক্স ক্যারি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন। মার্ফিকে বোকা বানিয়ে বেয়ারস্টোর কাছে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই টেস্ট খেলেই সবধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানো স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর ক্যারিকেও ব্যক্তিগত ২৮ রানে কট বিহাইন্ড বানিয়ে আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেন ব্রড।