আগ্রাসন ‘অটোমেটিক’ চলে আসে: শরিফুল

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশে এমন গতিময় উইকেট আগে দেখেননি জিম্বাবুয়ের কোচ
১৩ ঘন্টা আগে
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে পাত্তাই পাননি বাংলাদেশের বোলাররা। তৃতীয় ওয়ানডেতে দলে ফিরেই বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এই পেসার। ৯ ওভার বোলিং করে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ক্র্যাম্পের কারণে নিজের ওভারের কোটা শেষ করতে পারেননি শরিফুল।
নাহলে পেতে পারতেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেটও। এদিন শুরু থেকেই খুনে মেজাজে বোলিং করেছেন শরিফুল। প্রতিটি উইকেট নেয়ার পরই তার বুনো উৎযাপন নজর কেড়েছে আলাদাভাবে। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের সেই উৎযাপন নিয়ে খোলাসা করেছেন শরিফুল। তিনি বলেছেন, ‘জেদ ছিল না। আমি অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করছিলাম, ম্যাচেও তেমনই বোলিং করার চেষ্টা করেছি। শরীরী ভাষাটা চলে আসে। ড্রেসিংরুমে গিয়ে ভাবি যে এমন করা যাবে না। শান্ত থাকতে হবে। কিন্তু তবু অটোমেটিক চলে আসে (আগ্রাসন)।’
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
৫ উইকেট না পাওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে পেরেই সন্তুষ্ট শরিফুল। তিনি বলেছেন, ‘চেষ্টা তো ছিল (৫ উইকেট নেয়ার)। কিন্তু দেখছিলাম ক্র্যাম্প করছে। আামি যদি জোর করে বল করতাম, চোটে পড়তে পারতাম। এদিকে লুজ বল হলে বাউন্ডারি হয়ে যেত। তাই আমি চিন্তা করেছি আমার দলের ভালো একজন বোলার, যিনি কিনা শতভাগ দিতে পারবেন, তাঁরই বোলিং করা উচিত।’
প্রথম স্পেলে টানা ৫ ওভার বল করেছেন শরিফুল। সেই স্পেলে ৮ রান দিয়ে ২৮টি ডট দিয়েছিলেন এই পেসার। ৪ উইকেটের ৩ উইকেটই এসেছে সেই স্পেলে। এর মধ্যে একের পর এক বাউন্সারে আফগান ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন শরিফুল।
নিজের বোলিং পরিকল্পনার কথা খোলাসা করে তিনি বএলছেন, ‘শুরুতে দুই-তিন বল সামনে করার পর দেখলাম কিছু হচ্ছে না। পরে তাসকিন ভাইও বললেন ব্যাক অব লেংথে করলে ভালো হবে। আপ অ্যান্ড ডাউন হওয়ার চান্স আছে। তখন দুজন মিলে পরিকল্পনা বদল করেছি।’