রাজশাহীতেও হবে বিপিএল!

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

বিপিএলে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহী ‘ক্রিকেট উইথ সামি’

৬ মে ২৫

বিভিন্ন জেলার নামে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অংশ নেয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। যদিও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অভাবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আয়োজন করা যায় না বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টটি। বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে আবাসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের কথাও।

এর ফলে সব ম্যাচই সীমাবদ্ধ থাকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। তবে এবার আশার বাণী শুনিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী আসর থেকেই বিপিএলে বাড়তে পারে ভেন্যু। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় আছে রাজশাহী। দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এই শহরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মানসম্পন্ন হোটেলও। ফলে ভেন্যু হিসেবে খুব বেশি পিছিয়ে নেই তারা।

এমনটাই জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বিপিএলের গভর্নিং বডির সদস্য সচিব আশাবাদী এবার না হলেও পরের মৌসুমে রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনের ব্যাপারে। আরেক জেলা খুলনার চেয়ে রাজশাহী কেন এগিয়ে সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘খুলনার থেকে রাজশাহীকে আমরা একটু এগিয়ে রাখব, রাজশাহীতে দেয়ার ইচ্ছে আছে আমাদের। এই সিজনে না পারলেও এর পরের সিজন থেকে....।’

‘খুলনাতে যেটা হয়েছে আমাদের খুব ভালো মানের হোটেল দরকার তিন-চারটা, যেটা খুলনাতে এখনও হয়নি। রাজশাহীতে নতুন দুইটা হোটেল হয়েছে যে কারণে রাজশাহীতে আমি একটু এগিয়ে রাখব এই প্রেক্ষাপটে। এই সিজনে দিতে না পারলেও সামনের সিজনে দেয়ার আমাদের তো চিন্তা ভাবনা থাকেই।’

খুলনা ও রাজশাহীর সঙ্গে শোনা যাচ্ছিলো বরিশালের নামও। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াত সুবিধা ভালো না থাকায় সেখানে খেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা কেটে গেছে। তবে সেখানে বিপিএলের ক্রিকেটারদের রাখার মতো ভালো মানের একটির বেশি হোটেল না থাকায় এখনই সেখানে বিপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে না বিসিবি।

৬-৭ দল নিয়ে বরিশালে বিপিএল আয়োজনের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে মল্লিক বলেন, ‘বরিশালে শুধু ট্রান্সপোর্ট না, বরিশালের আসল সমস্যা হচ্ছে হোটেল। একটা মাত্র হোটেল আছে যেটা আমাদের বিপিএলের মানের সাথে যায়। সেই প্রেক্ষিতে আপনি যদি চিন্তা করেন ছয়টা-সাতটা বা আটটা দল নিয়ে একই সাথে গিয়ে ওইখানে টুর্নামেন্ট করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং।’