এজবাস্টনে জিতলেও সেরাটা খেলেনি অস্ট্রেলিয়া, বলছেন ল্যাবুশেন

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গ্রিনকে ৩ নম্বরের ‘স্থায়ী সমাধান’ ভাবছে অস্ট্রেলিয়া
২৫ জুন ২৫
সবশেষ এক বছরে ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট সফল হলেও এজবাস্টনে সেই প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি বেন স্টোকসের দল। ইংলিশদের বাজবলের সঙ্গে পেরে উঠতে পারলেও এজবাস্টনে নিজেদের সেরাটা খেলেনি অস্ট্রেলিয়া! এমন দাবি করেছেন মার্নাস ল্যাবুশেন।
উসমান খাওয়াজা ও অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে প্রথম টেস্ট জয়ের খুব কাছেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ২০৯ রানের সময় স্টোকসের বলে খাওয়াজা ফিরলে খানিকটা স্বস্তি পায় ইংল্যান্ড। ২২৭ রানের সময় যখন ক্যারি ফেরেন তখনও ম্যাচ জিততে পঞ্চাশের বেশি রান করতে হবে অজিদের।
এমন সমীকরণে বেশি খানিকটা এগিয়েই ছিল ইংলিশরা। তবে প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে ২ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়ার। এজবাস্টনে ট্রাভিস হেড এবং খাওয়াজা ছাড়াও বলার মতো ব্যাটিং করতে পারেননি সফরকারীদের কেউ।

দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার ল্যাবুশেন এবং স্টিভ স্মিথ, দুজনে মিলে করেছেন মোটে ৩৫ রান। খাওয়াজার সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে বোলারদের নৈপূণ্যেই মূলত জিতেছে অজিরা। তাই তো বাজবলকে আটকে দিতে পারলেও এজবাস্টনে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারেননি বলে জানান ল্যাবুশেন।
গ্রেনাডায় ফিরলেও স্লিপে ফিল্ডিং করতে পারবেন না স্মিথ
১৬ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যে মানের দল সে হিসেবে আমরা খেলতে পারিনি। চিন্তা ছিল তারা কিভাবে এটি (বাজবল) আমাদের বোলারদের বিরুদ্ধে করে। তারা দেখিয়েছে তারা এটি করতে পারে।’
‘লর্ডসে এটা আরও একটু বেশি হতে পারে। এটি দেখতে কেমন হবে (লর্ডসের উইকেট)? আমরা প্রথম টেস্টে জিতে ১-০তে এগিয়ে থেকে যাবো। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। তবে আমার মনে হয় না আমরা সেরা ক্রিকেট খেলেছি।’
স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ভিন্ন ঘরানার এক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। যেখানে প্রায় ওয়ানডে মেজাজে রান করে যাচ্ছে তারা। স্টোকস আগেই জানিয়েছেন, তারা হার কিংবা জয়ের চিন্তা না করে দর্শকদের বিনোদন দিতে চান। ইংল্যান্ড যেভাবে ক্রিকেট খেলছে তা মনে ধরেছে ল্যাবুশেনের।
তিনি বলেন, ‘তারা (ইংল্যান্ড) যেভাবে ক্রিকেট খেলতে সত্যিই তা আমি উপভোগ করছি। আমি মিথ্যে বলছি না। ক্রিকেট পর্যবেক্ষক হিসেবে আমি আগেই দেখেছি, আমি এটি পছন্দ করেছি। আমার মনে হয় এটি রোমাঞ্চকর এবং বিনোদনমূলক। এটি দেখতে ভালো লাগে।’