কামিন্স-লায়নের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটের জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ ইংলিশ পেসার
১৭ এপ্রিল ২৫
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৮০তম ওভারের পরও নতুন বল নেননি ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। তিনি এর পরের ওভারে বল তুলে দিলেন জো রুটকে। এসে তৃতীয় বলেই থিতু ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরালেন রুট। আর তাতে কিছুটা আশাও বেঁচে উঠেছিল ইংল্যান্ডের।
রুটের নিচু হওয়া বলে চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে বোলারকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যারি। তাতে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃত ব্যাটারদের ইনিংস। এরপর উইকেটে আসেন নাথান লায়ন। তাকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে নিয়ে যান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ব্যক্তিগত ২ রানে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান লায়ন। তার ক্যাচ লাফিয়ে এক হাতে মুঠোবন্দি করতে পারেননি স্টোকস। এই ক্যাচ মিসে ইংল্যান্ডের হাত থেকেও যেন ম্যাচটি ফসকে যায়। শেষ পর্যন্ত কামিন্স ৪৪ ও লায়ন ১৬ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে ২ উইকের স্বস্তির জয় এনে দেন।
ইংল্যান্ডের দেয়া ২৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল। ৩৪ রান নিয়ে খাওয়াজা ও বোল্যান্ড ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পঞ্চম দিন আর মাত্র ৭ রান যোগ করে ব্রডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আগের দিন নাইট ওয়াচ ম্যান হিসেবে নামা বোল্যান্ড।
খাওয়াজাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাভিস হেড। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৬ রান। ষষ্ঠ উইকেটের ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টেনেছেন খাওয়াজা। দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৬৬ রান। রবিনসনের করা স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা খাওয়াজা স্টোকসের করা স্টাম্পের বল তাড়া করতে গিয়ে বোল্ড হন। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে। তবে অস্ট্রেলিয়াকে ঠিকই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন লায়ন ও কামিন্স। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৩৮৬ রান করে অল আউট হয় অজিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ২৭৩ রানে।