অধিনায়ক করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চ্যাপেল দল থেকেই বাদ দিয়েছিল: শেবাগ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘ম্যাক্সওয়েল-লিভিংস্টোন কেবল ছুটি কাটাতে আইপিএলে আসে’
১৪ ঘন্টা আগে
গ্রেগ চ্যাপেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের মূল হোতাও ছিলেন তিনি এমনটাই বেরিয়ে এসেছিল। এমনকি এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ নিজের পছন্দের ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এবার সাবেক এই কোচকে নিয়ে মুখ খুলেছেন বীরেন্দর শেবাগ। ভারতীয় এই সাবেক ওপেনার জানিয়েছেন তাকে অধিনায়ক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চ্যাপেল। এরপর অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা তাকে দল থেকেও বাদ দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে শেবাগ বলেন, 'বিদেশি কোচেরাও কিন্তু নাম দেখত। সেটা শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি,, ভিভিএস লক্ষ্মণ— যে কেউ হতে পারে। গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হয়ে আসার পরে প্রথমেই বলেছিলেন, ‘শেবাগ দলের অধিনায়ক হবে।’ অধিনায়ক হওয়ার কথা ভুলে যান। দুই মাসের মধ্যে আমি দলের বাইরে চলে গিয়েছিলাম।’
লালচাঁদ রাজপুতের অধীনে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছিল ভারত। এরপর গ্যারি কারস্টেনের অধীনে ২০১১ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। অনেকেই তখন মনে করতেন বিদেশি কোচদের তুলনায় স্থানীয় কোচরাই বেশি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন।
যদিও পরবর্তীতে বিদেশি কোচদের বিরুদ্ধেই এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সেই সময়ের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে শেবাগ বলেন, 'সেই সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেকটা সময় ভারতীয় দলের সঙ্গে কাটিয়েছিল। তারা বলেছিল, দেশি কোচদের নিজস্ব পছন্দের ক্রিকেটার থাকে। সেই তালিকায় জায়গা না পেলে বড় সমস্যা হয়ে যায়।’
তিনি আরও যোগ করেন, 'সবাই মনে করত, বিদেশি কোচ এলে এই পক্ষপাতের ব্যাপারটা উঠে যাবে। বিদেশি কোচেরা এক জন ক্রিকেটারের দক্ষতা অনুযায়ী তাকে বিচার করবে। কিন্তু এই ধারণাটাও ঠিক ছিল না। বিদেশি কোচদেরও পছন্দ-অপছন্দের ক্রিকেটার ছিল।'
অবশ্য শেবাগের চোখে সেরা কোচ কারস্টেনই। তার প্রশংসা করে এই সাবেক ওপেনার বলেন, 'সেরা কোচ ছিলেন গ্যারি কারস্টেন। আমাকে অনুশীলনে ৫০টা বল খেলতে দিতেন। তার পরে বলতেন, হয় বাড়ি চলে যেতে, না হলে হোটেলে ফিরে যেতে। রাহুল দ্রাবিড় ২০০ বল খেলত, শচিন খেলত ৩০০ বল, গম্ভীর ৪০০। কারস্টেন জানতেন, কোন ক্রিকেটারের কী প্রয়োজন।'