হ্যাজেলউডের ‘আইপিএলে বাঁধানো ইনজুরি’ নিয়ে চিন্তিত নয় অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২৭ বছরেই ক্রিকেট ছাড়লেন কনকাশনের কাছে হারতে থাকা পুকোভস্কি
৮ এপ্রিল ২৫
দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে আনা ইনজুরির কারণে আইপিএলের প্রথম ভাগে খেলেননি জস হ্যাজেলউড। মাঝে তিনটি ম্যাচ খেলার পর ইনজুরিতে পড়ে আবারও দেশে ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। যদিও হ্যাজেলউডের ইনজুরি নিয়ে চিন্তিত নয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং অ্যাশেজ সিরিজের আগে হ্যাজেলউডকে 'ফিট' ঘোষণা করছে তারা।
ইনজুরির কারণে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম আট ম্যাচে খেলেননি হ্যাজেলউড। এরপর তিন ম্যাচ খেলে তিনটি উইকেট নিয়ে আবারও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যদিও দেশে ফিরে সেই ইনজুরি কাটিয়ে এখন আবার বোলিং শুরু করেছেন এই পেসার।
এক বিবৃতিতে সিএ বলেছে, 'গত সপ্তাহে আইপিএল থেকে দেশে ফিরেছে জস হ্যাজেলউড। শেষ যে ম্যাচটিতে খেলেছে, সেখানেই সে ইনজুরিতে পড়েছে (পায়ের পাশের পেশিতে টান খাওয়া)। তাকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সে আবারও বোলিংয়ে ফিরেছে।'

'ওয়ার্কলোড মাথায় রেখে সে ইতোমধ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং অ্যাশেজ সিরিজ নিয়েও প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং অ্যাশেজের জন্য তাকে অবশ্যই ফিট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।'
লম্বা সময় ধরে বাম পায়ে অ্যাকিলিসের চোটে ভুগছেন হ্যাজেলউড। সেই চোট নিয়েই বেশ কয়েক মাস আগে ভারতে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য সিরিজের শুরু থেকেই তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। কিন্তু তার চোটের অগ্রগতি না হওয়ায় দুই ম্যাচ পরই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও খেলতে পারেননি হ্যাজেলউড।
একই ইনজুরির কারণে গত দুই বছর ধরেই টেস্টে বেশ অনিয়মিত হ্যাজেলউড। এই সময়ের মধ্যে তিনি খেলেছেন কেবল চারটি টেস্ট। গত নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আঙুলে চোট পান। এরপর তিনি সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেও দর্শক হয়ে ছিলেন।
আইপিএলের এই আসরে সেভাবে না খেলতে পারলেও গত আসরে বেঙ্গালুরু দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন হ্যাজেলউড। ২০২২ সালের আইপিএল নিলামে ৭.৭৫ কোটি রুপিতে বেঙ্গালুরুতে আসা এই ক্রিকেটার সেই মৌসুমে ১২ ম্যাচ খেলে নেন ২০টি উইকেট।