পাকিস্তানের নতুন নির্বাচক কমিটিতে অ্যানালিস্ট চিমা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে হেসন
২০ ঘন্টা আগে
মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ছাঁটাই করার পর পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পর নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্ব পান কামরান আকমল, মোহাম্মদ সামি ও ইয়াসির হামিদ। সবশেষ ৫ মাসে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচক কমিটির তালিকা প্রকাশ করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
যেখানে হারুণ রশিদের সঙ্গে রয়েছেন টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার, হাসান চিমা এবং প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন। চার সদস্যের নির্বাচক কমিটির সবচেয়ে বড় চমক অ্যানালিস্ট চিমা। জাতীয় দলের পাশাপাশি শাহিনস ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল নির্বাচনে কাজ করবেন তারা। এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিসিবি।

দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জানায়, বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাজ করা চিমা, আর্থার ও ব্র্যাডবার্নের উপস্থিতি আসন্ন সিরিজগুলোতে কৌশল নির্ধারণে, বেঞ্চের শক্তিমত্তা বাড়াতে, শাহিনস ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জাতীয় দলে আসার সঠিক গতিপথ প্রদানে সহায়তা করবে।
চিমা মূলত একজন অ্যানালিস্ট। ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান ও বিভিন্ন ডেটা নিয়ে কাজ করে থাকেন। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ ও ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে প্রায় বছর পাঁচেক প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি। বর্তমানে কাজ করছেন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সঙ্গে।
ডেটা অ্যানালিস্ট হিসেবে ইসলামাবাদ ছাড়াও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কাজ করার অভিজ্ঞ আছে চিমার। দল নির্বাচনে ক্রিকেটারদের ডেটার উপর গুরুত্ব দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান নাজাম শেঠি। পিসিবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দল নির্বাচনে ডেটা ব্যবহার করতে চাই, হাসান এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ।’
আগামী মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে ফাস্ট ও স্পিন বোলিং ক্যাম্প। সেটা দিয়েই কাজ শুরু করবেন চার সদস্যের এই নির্বাচক কমিটি। যেখানে ক্যাম্পের জন্য ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করবেন তারা। এদিকে এবারই প্রথম প্রধান কোচকে নির্বাচকে প্যানেলে রাখা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়।
লম্বা সময় পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন মিসবাহ উল হক। সেসময় প্রধান কোচের সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের কাজও করতেন তিনি। যদিও পাকিস্তানের বাইরে প্রধান কোচ নির্বাচক প্যানেলে থাকার ঘটনা খুব একটা নেই। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাঝে সেসব নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিতা নেই।