টিকে রইল কলকাতা, অপেক্ষা বাড়ল চেন্নাইয়ের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর দ্রুতই ফিরলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার আর জেসন রয়। দীপক চাহারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রান ৩ উইকেটে ৩৩। এরপর সফরকারীদের হাল ধরেন নীতিশ রানা ও রিংকু সিং। শুধু হালই ধরেননি, শেষ পর্যন্ত কলকাতাকে গুরুত্বপূর্ণ একজন এনে দিয়েছেন তারা। নীতিশ ও রিংকুর হাফ সেঞ্চুরিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের আশা টিকে রইল কলকাতার। এদিকে ঘরের মাঠে হেরে শেষ চারে উঠার অপেক্ষা বাড়ল মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের।
জয়ের জন্য ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কলকাতা। প্রথম ওভারে শেষ বলে উইকেট হারায় সফরকারীরা। চাহারের অফ স্টাম্পের বাইরের হাফ ভলি বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে থাকা তুষার দেশপাণ্ডেকে ক্যাচ দেন ১ রান করা গুরবাজ। তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আইয়ার।

চাহারের অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দুই চারে ৯ রান করে এদিন আউট হয়েছেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে রয়কেও বিদায় করেন চাহার। ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রয়।
এজ হওয়ায় বল চলে যায় শর্ট থার্ডম্যানে থাকা মাথিশা পাথিরানার হাতে। শ্রীলঙ্কার তরুণ এই ক্রিকেটার ক্যাচ লুফে নিলে খানিকটা অবাক হয়ে সাজঘরের পথে হাঁটতে থাকেন রয়। এমন বলে আউট হওয়াটা নিজেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না ইংলিশ এই ওপেনার। এরপরই অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নীতিশ ও রিংকু।
চেন্নাইয়ের মঈন আলী, মাহেশ থিকশানা ও জাদেজার মতো স্পিনারদের দারুণভাবে সামলেছেন তারা দুজন। স্ট্রাইক রোটেট করার পাশাপাশি বাজে বল থেকে বাউন্ডারি আদায় করেছেন রিংকু ও নীতিশ। জয়ের ভিত গড়ে দেয়ার পাশাপাশি দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রিংকু। কলকাতার অধিনায়ক নীতিশ পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৩৮ বলে। রিংকু ৫৪ রান করে ফিরলেও নীতিশ অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানের ইনিংস খেলে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে চেন্নাইকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। সুবিধা করতে পারেননি আজিঙ্কা রাহানে এবং আম্বাতি রাইডু। তবে শেষদিকে শিভম দুবের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় চেন্নাই। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী।