মানকাডের হাফ সেঞ্চুরি আর পুরান ঝড়ে জিতল লক্ষ্ণৌ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মার্করাম-পুরানের হাফ সেঞ্চুরির পর লক্ষ্ণৌকে জেতালেন বাদনি
১২ এপ্রিল ২৫
হেনরিখ ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কাইল মেয়ার্স এবং কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে শুরুটাও বেশ ভালো করেছিল স্বাগতিকরা। তবে প্রেরাক মানকাডের হাফ সেঞ্চুরি আর নিকোলাস পুরানের ঝড়ের সামনে টিকতে পারেনি হায়দরাবাদের বোলাররা। মাত্র ১৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পুরান। হাফ সেঞ্চুরি করা মানকাড অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৬৪ রানে।
জয়ের জন্য ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগছিলেন কাইল মেয়ার্স। ভুবনেশ্বর কুমার ও ফজলহক ফারুকিদের খেলতে গিয়ে দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত গ্লেন ফিলিপসকে উইকেট দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেয়ার্স। ডানহাতি এই স্পিনারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এইডেন মার্করামকে পার করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।

মার্করাম ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিলে ১৪ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যেতে হয় মেয়ার্সকে। এরপর অবশ্য মানকাডকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্ণৌকে টানতে থাকেন ডি কক। যদিও তাকে জ্বলে উঠার আগেই ফেরান মায়াঙ্ক মারকান্দে। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অভিষেক শর্মাকে ক্যাচ দেন। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা ডি কক এদিন আউট হয়েছেন ২৯ রানে।
চারে নেমে খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন মার্কোস স্টইনিস। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মানকাড। ভুবনেশ্বরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে হাত খুলে খেলা শুরু করেন স্টইনিস। পরের ওভারে অভিষেককে মেরেছেন টানা দুই ছক্কা। তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে সামাদকে ক্যাচ দেন স্টইনিস। ফেরেন ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
এর পরের গল্পটা কেবলই পুরানের। স্টইনিস আউট হওয়ার ওভারের বাকি তিন বলে তিন ছক্কা মারেন ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে চার বল বাকি থাকতেই লক্ষ্ণৌর জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তাতে আবারও সেরা চারে ফিরল লক্ষ্ণৌ। হায়দরাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফিলিপস, অভিষেক ও মারকান্দে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে হায়দরাবাদ। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ক্লাসেন। এ ছাড়া সামাদ ৩৭, আনমলপ্রিত সিং ৩৬ ও মার্করাম ২৮ রান করেছেন। লক্ষ্ণৌর হয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়া দুটি উইকেট নিয়েছেন।