খরুচে মুস্তাফিজ, দিল্লির টানা ৫ হার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্রামের শর্তে মোহামেডানে মুস্তাফিজ, খেলবেন ফরহাদ-নাবিলও
১৬ এপ্রিল ২৫
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ তিন বলে দুই ছক্কা হজম করে হাতের নাগালে থাকা ম্যাচ থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ছিটকে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। সেই দায় এড়ানোর সুযোগ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। এদিন মুস্তাফিজ ছিলেন আরও খরুচে।
দিল্লির স্পিনাররা যখন বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের লাগাম টেনে ধরেন তখন বোলিংয়ে এসে এক ওভারে ১৯ রান দিয়ে গেছেন মুস্তাফিজ। নিজের তৃতীয় ওভারে দিয়েছেন আরও ১২ রান। সব মিলিয়ে ১৩.৬৬ গড়ে তিন ওভারে দিয়েছেন ৪১ রান। মুস্তাফিজের এমন খরুচে বোলিংয়ের দিনে ১৭৪ রান তোলে বেঙ্গালুরু। সেই লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দিল্লি। ফলে ফাফ ডু প্লেসির দলের কাছে ২৩ রানে হেরে টানা ৫ ম্যাচে হারল ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় দিল্লি। মুস্তাফিজের বদলি হিসেবে পৃথ্বী শ নামা রান আউটে ফিরেছেন কোনো রান না করেই। বিয়ের ছুটি থেকে ফিরে বল হাতে দুই উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ মিচেল মার্শ। ওয়েইন পারনেলের বলে লেগ সাইড দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। মার্শও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়
২২ এপ্রিল ২৫
তৃতীয় ওভারে আউট হয়েছেন ইয়াশ ধুল। মোহাম্মদ সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরে পরা ডেলিভারি ভেতরে ঢুকলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তরুণ এই ব্যাটার। পৃথ্বী ও মার্শ শূন্য রানে ফিরলেও ধুল করেছেন এক রান। আইপিএলের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন ওয়ার্নার। প্রথম চার ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২০৯ রান। তবে এদিন তাকে সুবিধা করতে দেননি বিজয় কুমার।
ডানহাতি এই পেসারের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ১৯ রান করা ওয়ার্নার। তাতে আরও খানিকটা বিপাকে পড়ে দিল্লি। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানো দিল্লিকে টেনে তুলতে পারেননি অভিষেক পোরেল ও মানিষ পান্ডে। হার্শাল প্যাটেলের স্লোয়ার ডেলিভারিতে পারনেলকে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার পোরেল। সাতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
তিন চারে ১৪ বলে ২১ রান করা অক্ষরকে সাজঘরে পাঠান বিজয় কুমার। শেষ দিকে আমান খানের ১০ বলে ১৮ আর অ্যানরিখ নরকিয়ার ১৪ বলে অপরাজিত ২৩ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বেঙ্গালুরুর হয়ে বিজয় কুমার তিনটি আর সিরাজ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৪ রান তোলে বেঙ্গালুরু। স্বাগতিকদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫০ রান করেছেন কোহলি। এ ছাড়া মাহিপাল লমরোর ২৬, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৪ এবং ডু প্লেসি করেছেন ২২ রান। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্শ ও কুলদীপ যাদব।