সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল গুজরাট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শেষ ওভারে ৭ রানের সমীকরণের সামনে ছিল গুজরাট টাইটান্স। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সেট ব্যাটার শুভমান গিলকে বোল্ড করে ফেরান স্যাম কারান। এই আউটের ফলেই ম্যাচ জমে যায়। পরের দুই বলে দুই সিঙ্গেল নিয়ে জায়গা ওদল বদল করেন রাহুল তেওয়াতিয়া ও ডেভিড মিলার।
পঞ্চম বলে স্কুপ করে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন তেওয়াতিয়া। ফলে ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তেওয়াতিয়া ২ বলে ৫ ও মিলার ১৮ বলে ১৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাটকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। এই দুজনেই যোগ করেন ৪৮ রান। সাহা আউট হয়েছেন ১৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। সাই সুদর্শন ফেরেন ২০ বলে ১৯ রান করে।

অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে গুজরাটের ইনিংস এগিয়ে নিয়েছেন গিল। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। গুজরাটকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন গিল ও মিলার। মনে হচ্ছিল তাদের জয় পাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে শেষ ওভারে গিল ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে দলটি।
এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। তবে তেওয়াতিয়া আর মিলার গুজরাটকে অনায়াশে জয় এনে দেন। পাঞ্জাবের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ সিং, কাগিসো রাবাদা, হারপ্রীত ব্রার ও কারান।
এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল পাঞ্জাব কিংস। তারা দলীয় শূন্য রানেই হারায় ওপেনার প্রাভসিমরান সিংকে (০)। এরপর দলীয় ২৮ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৮)। এরপর দলের হাল ধরেন ম্যাথু শর্ট ও ভানুকা রাজাপাকশে।
শর্ট ফেরেন ৩৬ রান করে। ভানুকার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। এরপর জিতেশ শর্মা কিছুটা রান বাড়ান পাঞ্জাবের। এরপর শেষদিকে স্যাম কারানের ২২ বলে ২২ ও শাহরুখ খানের ঝড়ো ৯ বলে ২২ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাঞ্জাব। ৮ রান করে হারপ্রীত ব্রার ও ১ রান করে রিশি ধাওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
গুজরাটের হয়ে দুটি উইকেট নেন মোহিত শর্মা। মোহাম্মদ শামি, রশিদ খান জসুয়া লিটল ও আলজারি জোসেফ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এদিন বলই হাতে নেননি গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।