হৃদয়ের আক্ষেপের দিনে জিতল শেখ জামাল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আবার নিষিদ্ধ হৃদয়, খেলা হচ্ছে না আবাহনীর বিপক্ষে
২৬ এপ্রিল ২৫
ম্যাচের তখনও ২১ বল বাকি, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়ের প্রয়োজন কেবল ১ রান। সেঞ্চুরি করতে তাওহীদ হৃদয়ের দরকার তখনও ৬ রান। রেজাউর রহমান রাজার ফুলটস ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারলেন হৃদয়। তবে ছয় না হয়ে চার হওয়ায় সেঞ্চুরি করা হলো না তরুণ এই ব্যাটারের। তবে ৭ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে শেখ জামাল।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ২৪৫ রান তাড়ায় শেখ জামালকে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও সাইফ হাসান। ইনিংসের প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুই চার মেরে শুরু করেছিলেন রবিউল। বাঁহাতি এই পেসারের পরের ওভারে সাইফ মেরেছেন দুই চার ও এক ছয়। তবে তাদের দুজনের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি তাইজুল ইসলাম।

বাঁহাতি এই স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করেন রবিউল। ফলে মিডল স্টাম্পে পড়ে খানিকটা টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বল স্টাম্পে আঘাত করে। তাতে ভালো শুরুর পর ১৮ রান করে ফিরে যেতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে তাকে ফেরার শেখ মেহেদি। ফজলে রাব্বির ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ২ রান।
রানবন্যার ম্যাচে আফিফ-সাইফের সেঞ্চুরি মিস, ধানমন্ডির জয়
৭ মার্চ ২৫
এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েনে সাইফ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর শেখ মেহেদির এক ওভারে দুই ছক্কা মেরে ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ওপেনার। দলের রান একশ পার হতেই অবশ্য ফিরে যেতে হয় সাইফকে। করিম জানাতের বলে পয়েন্ট দিয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে নাসির হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় সাইফকে।
শেখ জামালের জয়ের বাকি কাজটা সেরেছেন হৃদয় ও নুরুল হাসান সোহান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আসলেও উইকেটে থিতু হতে খানিকটা সময় নিয়েছেন হৃদয়। যে কারণে তরুণ এই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭৩ বলে। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য দ্রুত রান তুলেছেন তিনি। সেঞ্চুরি না পেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া অধিনায়ক সোহান করেছেন অপরাজিত ৪৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ২৪৪ রানে অল আউট হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। এ ছাড়া নাসির ৩৪, শাহাদাত হোসেন দিপু ৩৩ এবং শেখ মেহেদি ৩০ রান করেছেন। শেখ জামালের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি।