বাংলাদেশের ক্রিকেটে জিপিএস যুগের সূচনা করতে চান ডেভিড মুর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তাইজুলের ফাইফার, অল আউটের পথে জিম্বাবুয়ে
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের ক্রিকেটে জিপিএস যুগের সূচনা করতে চান ডেভিড মুর। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট পরিমাপ করার জন্য এবং তাদের সমস্ত তথ্য একত্রে রেখে সেটা থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিতে চান বাংলাদেশের নতুন হেড অব পোগ্রাম মুর।
ম্যাচের সময় একজন ক্রিকেটার কতটা দৌড়েছেন, কতটুকু ধকল গেছে তার ওপর বা সেই ক্রিকেটারের হৃৎস্পন্দনের গতি, এমনকি পায়ে পায়ে কত কদম হেঁটেছেন বা দৌড়াচ্ছেন...সবই জিপিএস-প্রযুক্তির মাধ্যমে চলে যাবে ড্রেসিংরুমে থাকা ল্যাপটপে। জিপিএসটা বাঁধা থাকবে ক্রিকেটারের জার্সির নিচের ছোট জামায়।
শুধু শারীরিক অবস্থা নয়, একজন ক্রিকেটারের শক্তি-দুর্বলতাও তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ করে ফেলা যাবে এই প্রযুক্তি দিয়ে। ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে কোন জায়গায় বল ফেললে তিনি বিপদে পড়ছেন, আর বোলারের ক্ষেত্রে কোন জায়গায় বল ফেললে মার খাচ্ছেন কম বেশি সবই।

ক্রিকবাজকে মুর বলেন, 'এটা (জিপিএস) ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট থেকেও বেশি। আমরা যা চাই তা হল ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট পরিমাপ করার জন্য একটি ব্যবস্থা। আমরা খেলোয়াড়দের সক্ষমতা এবং সীমিত ইনজুরি এবং এর সম্ভাবনা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। কিছু সিস্টেম যেমন ফাস্ট বোলারদের শরীরের উপর চাপের বিষয়ও থাকবে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে কোন জিপিএস নেই এবং অন্যান্য ক্লাব এটি ব্যবহার করছে কিনা তা আমি জানি না।'
'আমি নাসেরের (বিসিবি'র ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রধান) সাথে অনেক কথা বলছি এবং তিনি স্পষ্টতই এতে বিশ্বাস করেন এবং আমিও বিশ্বাস করি যে এই সিস্টেমটি নিয়ে আসা উচিত। যাতে আমরা একসাথে যোগাযোগ করতে পারি আমরা খেলোয়াড়দের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পাই। এটিই সর্বোত্তম এবং আমাদের প্রয়োজন।'
ফেসবুক-টুইটারের মতো প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আলাদা ‘অ্যাকাউন্ট’ থাকবে এই সিস্টেমে, যার মাধ্যমে কোচ-খেলোয়াড় সবাই সব তথ্য পেয়ে যাবেন। একজন খেলোয়াড় ম্যাচের জন্য ফিট কি না, বোঝা যাবে তার নামের পাশে থাকা সবুজ, হলুদ বা লাল চিহ্ন দেখে। সবুজ মানে ফিট, লাল মানে ফিট নয় এবং হলুদ মানে সংশয়।
মুর আরও বলেন, 'আমার ভূমিকা কোচদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। বিপিএল, ডিপিএল বা এনসিএল যাই হোক না কেন, আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা শুধু পরিসংখ্যান নিয়ে চলছি না। আমরা যদি কারো ওপর বিনিয়োগ করি, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা কয়েক বছর ধরে আমাদের সাথে আছে। এটি ফিটনেস এবং চরিত্রের ব্যাপার যা নিশ্চিত করবে যে তারা ভালো দল এবং কঠোর পরিশ্রম করে এবং পাশাপাশি নিজেদের বিকাশের চেষ্টা করে।'
'আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা শুধু তথ্য রেকর্ড করবো না। ডেটা এবং পরিসংখ্যান দিয়ে আমরা একটি বড় ছবি আঁকতে পারি এবং যাতে সব বিষয়গুলো ভুলে না যাই। আমাদের এমন কোচ থাকা দরকার যারা ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটারদের খেলা দেখে। অস্ট্রেলিয়াতে একজন রাজ্য দলের ক্রিকেটারের তথ্যও দারুণভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আর প্রত্যেকেই সচেতন যে কী ঘটছে।'